রংপুরের পীরগঞ্জে শহীদ আবু সাঈদের স্মরণে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র ও শিক্ষার্থীদের স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি)’র উদ্যোগে পীরগঞ্জের বাবনপুর কামিল মাদরাসা মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে কম্বল ও চাদর এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়।

এই কর্মসূচি ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে আয়োজিত স্বাস্থ্য ক্যাম্পের ধারাবাহিক উদ্যোগের একটি অংশ, যার লক্ষ্য শহীদ আবু সাঈদের অদম্য চেতনাকে সম্মান জানানো। 

পিপিআরসি-এর উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে ১৫০টি কম্বল, ৪০০টি চাদর এবং ১২০টি স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হয়। 

অনুষ্ঠানে অডিও বার্তা প্রদান করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা, ব্র্যাকের চেয়ারপারসন এবং পিপিআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড.

হোসেন জিল্লুর রহমান। 

অডিও বার্তায় তিনি বলেন, আবু সাঈদের আত্মত্যাগ জুলাই-আগস্টের গণঅভুত্থানকে বেগবান করেছিল। তার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পিপিআরসির পক্ষ থেকে গেল বছরের অক্টোবর মাসে পীরগঞ্জের বাবনপুর গ্রামের কামিল (এমএ) মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গণে একটি হেলথ ক্যাম্প করেছিলাম। এবারে একই সামাজিক ও নৈতিক দায়বদ্ধতার সূত্রধরে শীতার্তদের মধ্যে বস্ত্র বিতরণ ও স্কুল শিক্ষার্থীদের মধ্যে স্কুল ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে।’

এই কর্মসূচিতে সহযোগিতা করেছে বিকাশ, ব্র্যাক, সিনিয়র সিটিজেনস সোসাইটি এবং শহীদ আবু সাঈদ ফাউন্ডেশন। বস্ত্র বিতরণ ও স্কুল ব্যাগ বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাকের রংপুর ডিসট্রিক্ট কো-অর্ডিনেটর একে এম জাহিদুল ইসলাম, পিপিআরসি’র ম্যানেজার কমিউনিকেশন জয়ন্ত পাল, ব্র্যাক অ্যাডভোকেসি প্রোগ্রামের মো. মুসা মিয়া, শহীদ আবু সাঈদের বাবা মো. মকবুল হোসেন এবং চাচা মো. মনজুর হোসেন ও আব্দুল আহাদ, শহীদ আবু সাঈদ ফাউন্ডেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমীনসহ অন্যান্যরা।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ তবস ত র ব তরণ স ক ল ব য গ ব তরণ ক প রগঞ জ প প আরস

এছাড়াও পড়ুন:

এটিএম বুথে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, নিরাপত্তাকর্মী পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে বেসরকারি একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এক কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার পর থেকে ওই বুথের নিরাপত্তাকর্মী পলাতক।

আজ রোববার বিকেলে ওই কিশোরীর বাবা শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মুলাইদ গ্রামের একটি কারখানার পাশের এটিএম বুথের ভেতর এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়া শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের আতাবুদ্দিন মুসার বাড়ির ভাড়াটিয়া। তাঁর গ্রামের বাড়ির ঠিকানা জানা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক। ভুক্তভোগী কিশোরীর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দায়। সে মা–বাবার সঙ্গে শ্রীপুরের একটি গ্রামে ভাড়া বাড়িতে থাকে।

কিশোরীর বাবা প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বলেন, তিনি টাকা তোলার জন্য ওই এটিএম বুথে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে নিরাপত্তাকর্মী মো. লিটনের সঙ্গে পরিচয় হয়। তাঁর মেয়ে একটি স্পিনিং কারখানায় স্বল্প বেতনের চাকরি করেন। বিষয়টি জানতে পেরে লিটন অন্য কারখানায় ভালো বেতনের চাকরির ব্যবস্থা করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। আশ্বাস পেয়ে রোববার তিনি তাঁর মেয়েকে নিয়ে ওই বুথে যান।

ওই কিশোরীর বাবা আরও বলেন, বুথে যাওয়ার পর লিটন মিয়া তাঁর মেয়েকে বুথের ভেতরে থাকা ছোট্ট একটি কক্ষে নিয়ে বসান। অন্য একটি কারখানার এক কর্মকর্তা কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে আসবেন বলে অপেক্ষা করিয়ে রাখেন। একপর্যায়ে লিটন মিয়া ওই কিশোরীকে আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বলেন এবং তাঁর বাবাকে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। কিশোরীর বাবা সেখান থেকে চলে যান। কিছুক্ষণ পর খবর নিতে এসে দেখেন তাঁর মেয়ে কাঁদতে কাঁদতে বুথের ভেতর থেকে বের হচ্ছে। পরে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গেলে ধর্ষণের বিষয়টি তার মাকে জানায়।

পলাতক থাকায় এ বিষয়ে অভিযুক্ত মো. লিটন মিয়ার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মহম্মদ আবদুল বারিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই নিরাপত্তাকর্মী পলাতক আছেন। তাঁকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ