রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে শনিরআখড়ায় মিনহাজুল ইসলাম (২২) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দনিয়া কলেজের সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মিনহাজুলের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর থানার সোনারাপুর গ্রামে। বাবার নাম রফিকুল ইসলাম। বর্তমানে কদমতলী সাদ্দাম মার্কেট তুষারধারা এলাকায় পরিবারের সাথে থাকতেন।

আরো পড়ুন:

বগুড়ায় মেয়েকে হত্যার দায়ে বাবার যাবজ্জীবন

অটোরিকশা চালককে হত্যার অভিযোগ ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে

নিহতের পরিচিত তানজিল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, মিনহাজুল দনিয়া কলেজের সাবেক ছাত্র। বর্তমানে একটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে চাকরি করতেন।

মিনহাজুল হাসপাতালে নিয়ে আসা বন্ধু মোহাম্মদ শামীম আহমেদ বলেন, “আজ সন্ধ্যার দিকে দনিয়া কলেজের সামনে পুর্ব শত্রুতার জেরে সাত থেকে আটজন তাকে ঘিরে ফেলে ছুরিকাঘাত করে। এতে মিনহাজুল বুকে পিঠে হাতে ও পায়ের গোড়ালিতে গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে মৃত বলে জানান।”

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো.

ফারুক মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।”

ঢাকা/এসবি

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল জ র স

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ