চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রেস্টের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জিতেছে রিয়াল মাদ্রিদ। জোড়া গোল করেছেন রদ্রিগো গোয়েস। অন্য গোলটি এসেছে জুড বেলিংহামের পা থেকে। 

ব্রেস্টের মাঠে বড় জয় পেলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে সেরা আটে শেষ করতে পারেনি লস ব্লাঙ্কোসরা। যার অর্থ সরাসরি শেষ ষোলোয় খেলা হবে না তাদের। পয়েন্ট টেবিলে ১১তম অবস্থানে শেষ করা দলটির খেলতে হবে প্লে অফ।

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের নিয়ম অনুযায়ী, সেরা ৮ দল সরাসরি দ্বিতীয় রাউন্ড খেলবে। ৯ থেকে ২৪ নম্বরে থাকা ১৬টি দল নকআউট প্লে অফ খেলবে। জয়ী দল যাবে শেষ ষোলোয়।

রিয়াল মাদ্রিদের অবশ্য সেরা আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোয় যাওয়ার সুযোগ ছিল। তবে নিজেরা জিতলেই হতো না। মিলতে হতো অনেকগুলো সমীকরণ। যেমন এসি মিলান ও আটালান্টার পয়েন্ট হারাতে হতো। মিলান ২-১ গোলে ডায়নামো জাগরেভের কাছে হেরে সেরা আট থেকে পড়ে গেছে। আবার বার্সার বিপক্ষে ২-২ গোলে ড্র করে আটালান্টাও সেরা আটের বাইরে চলে গেছে।

কিন্তু বায়ার লেবারকুসেন, অ্যাস্টন ভিলা ও লিলি বড় জয়ে সেরা আটে জায়গা পাকা করেছে। লেভারকুসেন যেমন স্পার্তা প্রাগের বিপক্ষে ২-০ গোলে জিতেছে। অ্যাস্টন ভিলা ৪-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সেল্টিককে। লিলি ৬-১ গোলে জিতেছে ফায়েনর্ডের বিপক্ষে। তারা পয়েন্ট হারালে রিয়ালে হয়তো সেরা আটে ঢুকতে পারতো।

শুক্রবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফের ড্র হবে। ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি প্লে অফের প্রথম লেগ এবং ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় লেগ মাঠে গড়াবে। ২১ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় রাউন্ড, কোয়ার্টার ফাইনাল ও সেমিফাইনালের ড্র হবে।  

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ