চ্যাম্পিয়ন্স লিগের গ্রুপ পর্বে বিদায়ের শঙ্কায় ছিল পেপ গার্দিওলার ম্যানচেস্টার সিটি। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ক্লাব ব্রুগের বিপক্ষে ৩-১ গোলে জিতে প্লে অফে খেলা নিশ্চিত করেছে এক মৌসুম আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী সিটিজেনরা।
ম্যাচে ৪৫ মিনিটে প্রথম গোল খাও ম্যানসিটি। দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত কামব্যাক করে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে লিগের খারাপ সময় কাটানো পেপ গার্দিওলার দল। ৫৩ মিনিটে কোভাসিচ দলকে সমতায় ফেরান। ৬২ মিনিটে আত্মঘাতী গোলে লিড নেয় সিটিজেনরা। ৭৭ মিনিটে সাভিনহো জয় নিশ্চিত করেন ম্যানসিটির।
ম্যানসিটির মতো বিদায়ের শঙ্কায় ছিল পিএসজিও। হারলে তাদেরও বিদায় নিতে হতো গ্রুপ পর্ব থেকে। স্টুটগার্টের মাঠে ৪-১ গোলে জিতেছে লুইস এনরিকের দল।
পিএসজি ম্যাচের ৬ মিনিটে বারকোলার গোলে প্রথম লিড নেয়। পরে হ্যাটট্রিক করে ডেম্বেলে প্লে অফে তোলেন পিএসজিকে। ডেম্বেলে ১৭ মিনিটে নিজের প্রথম গোল করেন। ৩৫ ও ৫৪ মিনিটে বাকি দুই গোল দেন সাবেক বরুশিয়া ডর্টমুন্ড ও বার্সা ফরোয়ার্ড।
পিএসজি ও স্টুটগার্টের লড়াই ছিল বাঁচা-মরার। যে দল হারবে তারাই নেবে বিদায়। এমন সমীকরণে ঘরের মাঠে কপাল পুড়েছে স্টুটগার্টেরই।
এই জয়ে পিএসজি গ্রুপ পর্বের লড়াই ১৫তম’তে শেষ করেছে। ম্যানসিটি শেষ করেছে ২২তম অবস্থানে থেকে। এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে স্লোভান ব্রাতিস্লাভা ও ইয়ং বয়েজ সবগুলো ম্যাচে হেরেছে। জিরোনা ও আরবি লাইপজিগ হেরেছে সাতটি করে ম্যাচে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে গ্রুপ পর্বে সেরা আটে থাকা দল সরাসরি শেষ ষোলোয় খেলবে। ৯ থেকে ২৪তম অবস্থানে থাকা ১৬ দল প্লে অফ খেলবে। সেখান থেকে আট দল খেলবে শেষ ষোলোয়। শুক্রবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফের ড্র হবে। ১১ ও ১২ ফেব্রুয়ারি প্লে অফের প্রথম লেগ ও ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় লেগ মাঠে গড়াবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প এসজ উসম ন ড ম ব ল গ র প পর ব প এসজ প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
ঘাড়ব্যথার কারণগুলো কী কী, প্রতিরোধ ও চিকিৎসা জেনে রাখুন
অনেক কারণে ঘাড়ে ব্যথা হতে পারে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—
১. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস
২. সারভাইক্যাল স্পন্ডেলোসিস
৩. সারভাইক্যাল রিবস
৪. সারভাইক্যাল ক্যানেল স্টেনোসিস বা স্পাইনাল ক্যানাল সরু হওয়া
৫. সারভাইক্যাল ডিস্ক প্রলেপস বা হারনিয়েশন যেখানে হারনিয়াটেড ডিস্ক নার্ভের ওপর চাপ প্রয়োগ করে
৬. মাংসপেশি, হাড়, জোড়া, লিগামেন্ট, ডিস্ক (দুই কশেরুকার মাঝখানে থাকে) ও স্নায়ুর রোগ বা ইনজুরি
৭. অস্বাভাবিক পজিশনে নিদ্রা
৮. উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদ্রোগ
৯. হাড় ও তরুণাস্থির প্রদাহ এবং ক্ষয়
১০. অস্টিওপরোসিস বা হাড়ের ক্ষয় ও ভঙ্গুরতা রোগ
১১. হাড় নরম ও বাঁকা হওয়া
১২. রিউমাটয়েড-আর্থ্রাইটিস ও সেরো নেগেটিভ আর্থ্রাইটিস
১৩. সারভাইক্যাল অস্টিও-আর্থ্রাইটিস
১৪. ফাইব্রোমায়ালজিয়া
১৫. সামনে ঝুঁকে বা পাশে কাত হয়ে ভারী কিছু তুলতে চেষ্টা করা
১৬. হাড়ের ইনফেকশন
১৭. ডিস্কাইটিস (ডিস্কের প্রদাহ)
১৮. পেশাগত কারণে দীর্ঘক্ষণ ঘাড় নিচু বা উঁচু করে রাখলে ইত্যাদি।
উপসর্গ
ঘাড়ব্যথা কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুল পর্যন্ত ছড়াতে পারে।
কাঁধ, বাহু, হাত ও আঙুলে অস্বাভাবিক অনুভূতি বা অবশ ভাব।
বাহু, হাত ও আঙুল দুর্বল হতে পারে।
সব সময় ঘাড় ধরে বা জমে আছে মনে হয়।
ঘাড়ের মুভমেন্ট করলে, ঘাড় নিচু করে ভারী কিছু তোলার পর তীব্র ব্যথা।
হাঁচি, কাশি দিলে বা সামনে ঝুঁকলে ব্যথা বেড়ে যায়।
ব্যথা মাথার পেছন থেকে শুরু হয়ে মাথার সামনে আসতে পারে।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা
ঘাড়ব্যথার কারণ নির্ণয় করার জন্য প্রয়োজনীয় ল্যাবরেটরি পরীক্ষা হতে পারে—রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা, ঘাড়ের এক্স-রে, এমআরআই বা সিটি স্ক্যান।
চিকিৎসা
চিকিৎসা এর কারণগুলোর ওপর নির্ভর করে।
কনজারভেটিভ চিকিৎসা: ১. ব্যথা বা প্রদাহনাশক ওষুধ ২.ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা। বিভিন্ন ধরনের ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা যেমন ম্যানুয়াল বা ম্যানুপুলেশন থেরাপি, থেরাপিউটিক এক্সারসাইজ ব্যবহৃত হয়। বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রোমেডিকেল ইকুইপমেন্ট যেমন ইন্টারফ্যারেনশিয়াল থেরাপি, অতি লোহিত রশ্মি, মাইক্রোওয়েভ ডায়াথারমি, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি, শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি ও ইন্টারমিটেন্ট ট্র্যাকশন ইত্যাদির মাধ্যমে চিকিৎসা করা যায়।
সার্জিক্যাল চিকিৎসা: মেডিকেল চিকিৎসায় ভালো না হলে, ব্যথা ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকলে, স্নায়ু সমস্যা দেখা দিলে, বাহু, হাত ও আঙুলে দুর্বলতা এবং অবশ ভাব দেখা দিলে এবং প্রস্রাব বা পায়খানার নিয়ন্ত্রণ না থাকলে দ্রুত সার্জিক্যাল চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ঘাড়ব্যথা প্রতিরোধে করণীয়
১. সামনের দিকে ঝুঁকে দীর্ঘক্ষণ কাজ করবেন না।
২. মাথার ওপর কোনো ওজন নেবেন না।
৩. প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিতে হবে।
৪. শক্ত বিছানায় ঘুমাবেন।
৫. শোবার সময় একটা মধ্যম সাইজের বালিশ ব্যবহার করবেন, যার অর্ধেকটুকু মাথা ও অর্ধেকটুকু ঘাড়ের নিচে দেবেন।
৬. তীব্র ব্যথা কমে গেলেও ঘাড় নিচু বা উঁচু করা, মোচড়ানো (টুইসটিং) বন্ধ করা।
৭. সেলুনে কখনোই ঘাড় মটকাবেন না।
৯. কাত হয়ে শুয়ে পড়বেন না বা টেলিভিশন দেখবেন না।
১০. কম্পিউটারে কাজ করার সময় মনিটর চোখের লেভেলে রাখবেন।
১১. গরম প্যাড, গরম পানির বোতল দিয়ে গরম সেঁক দেবেন।
১২. ঘাড়ের পেশি নমনীয় ও শক্তিশালী হওয়ার ব্যায়াম করতে হবে।
এম ইয়াছিন আলী, চেয়ারম্যান ও চিফ কনসালট্যান্ট, ঢাকা সিটি ফিজিওথেরাপি হাসপাতাল, ঢাকা
আরও পড়ুনকাঁধের ব্যথা বা কাঁধ জমে যাওয়ার কারণ ও করণীয়১৭ এপ্রিল ২০২৫