তুচ্ছ ঘটনায় ইবিতে সংঘর্ষ: বিচার দাবি আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের
Published: 2nd, February 2025 GMT
তুচ্ছ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছেন আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেস কর্নারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানান তারা।
এ সময় আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন আশহাদুল ইসলাম (ইশমাম), সাব্বির আহমেদ, মাহফুজ উল হক সুমন গাজী, মেজবাউল আলম ফজলে রাব্বী ও রাশেদুল ইসলাম।
সংবাদ সম্মেলনে তারা জানান, গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) মধ্যরাতে বাসের সিট ধরাকে কেন্দ্র করে আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী সুমন গাজীকে মারধর ও লাঞ্চিত করেন আল ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শিক্ষার্থী রাকিব। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রক্টর অফিসে বিচার দাবিতে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
তারা আরও জানান, সেখানে রাকিব তার ভুল স্বীকার করে মাফ চান এবং এ বিষয়ে লিখিত মুচলেকা দিতে সম্মত হন। এ সিদ্ধান্তকে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা স্বাগত জানায়। তবে মিটিংয়ের এ সিদ্ধান্ত বাইরে জানাতে গেলে সেখানে উপস্থিত আল ফিকহ ও অন্য অনুষদের কিছু শিক্ষার্থী ‘আল ফিকহ’ বিভাগের নামে স্লোগানসহ বিভিন্ন উস্কানীমূলক বক্তব্য দেন। এরপর তারা আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের উপর অতর্কিত ও পরিকল্পিত হামলা চালান।
তাদের অভিযোগ, এ হামলায় সরাসরি সম্পৃক্ত ও ইন্ধনদাতা হলেন, জাকারিয়া (বঙ্গবন্ধু হল), আমিনুর (জিয়া হল), হাসানুল বান্না (লালন হল)। এদের কেউ আল ফিকহ বিভাগের শিক্ষার্থী নন। এতে আইন বিভাগের কামরুজ্জামান, আহাদ, কবির, জুবায়ের, সোহানুর, নাইমুর, তালহা, বায়েজিতসহ আরো কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন।
এ সময় প্রক্টর তাদের নিবৃত্ত করতে আসলে হামলার মাঝখানে পড়ে যান। সেখান থেকে আইনের শিক্ষার্থীরা প্রক্টর স্যারকে নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসেন বলেও জানান তারা।
হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, প্রক্টর ও আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে যে বানোয়াট ও বিভ্রান্তমূলক সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে, তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এছাড়া আইন বিভাগের ইশমামকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে আমাদের ন্যায্য দাবিকে এক কুচক্রী মহল ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস, হল ও মেসে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অবিলম্বে আমাদের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, জুনিয়র শিক্ষার্থী কর্তৃক সিনিয়র শিক্ষার্থীর উপর হামলার পরবর্তীতে ঘটে যাওয়া মারধর ও আক্রমণের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার অবিলম্বে নিশ্চিত করতে হবে; গতকাল শনিবার (১ জানুয়ারি) রাতে বাস ভাংচুরের ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে বিচারের আওতায় আনতে হবে; আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আইন ব ভ গ র শ ক ষ র থ দ র চ ত কর ত করত
এছাড়াও পড়ুন:
ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করবেন স্বস্তিকা, তবে...
পশ্চিমবঙ্গে এ সময়ের আলোচিত তরুণ অভিনেত্রীদের একজন স্বস্তিকা দত্ত। অরিত্র মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘ভানুপ্রিয়া ভূতের হোটেল’ ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয়ের পরই তিনি ত্রিকোণ প্রেমের সিরিজ ‘খুঁজেছি তোকে রাত বেরাতে’ সিনেমায় অভিনয় করছেন তিনি। তাঁর বিপরীতে দুই নায়ক গৌরব চক্রবর্তী, অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। নতুন সিনেমার শুটিং শুরুর আগে আনন্দবাজার পত্রিকাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অভিনেত্রী। কথা বলেছেন ব্যক্তিগত জীবন ও ক্যারিয়ারের নানা দিক নিয়ে।
১৪ বছর ধরে কাজ করছেন স্বস্তিকা। তাঁর ক্যারিয়ার–দর্শন কী—এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘এক পেশায় এত দিন ধরে টিকে থাকতে গেলে একটু ভেবে চলতেই হয়। তার জন্য হিসাব করিনি কখনো। কারণ, বেশি বাছাবাছি করলে কাজই পাব না। চেষ্টা করেছি নানা ধরনের চরিত্রে অভিনয় করতে। এবং সেগুলো নায়িকাকেন্দ্রিক হলে আরও ভালো।’
স্বস্তিকা দত্ত। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে