নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেছেন, ‘‘বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচিতে ৪৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৮ নতুন ভোটার যুক্ত হতে যাচ্ছেন।’’
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
ইসি সচিব বলেন, ‘‘এবারের হালনাগাদে ৪৯ লাখ ৭০ হাজার ৩৮৮ জন নতুন ভোটার যুক্ত হচ্ছেন। তবে নির্বাচন কমিশনের লক্ষ্য ছিল ৬১ লাখের কিছু বেশি। ভোটার তালিকা থেকে মৃত ভোটার বাদ পড়েছেন ১৫ লাখ ২৩ হাজার। শতকরা হিসাবে ১.
নারী ভোটার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘এবার ১৬ লাখ নারী ভোটার হতে নিবন্ধন করেছেন। চলমান হালনাগাদ কর্মসূচিতে যারা বাদ পড়েছেন, তাদেরও যুক্ত করা হবে তালিকায়। নিবন্ধন চলবে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। এ ছাড়া, অনলাইন আর আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভোটার হওয়ার যোগ্যরা নিবন্ধন করতে পারবেন। তবে কোনো তথ্য-সংগ্রহকারী কোনো বাড়িতে না গেলে, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
এ ছাড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে ১৭ বছরের কেউ ভোটার হয়েছে কি না, এমন তথ্য নেই ইসির কাছে। তবে নির্দিষ্ট করে কেউ জানালে কমিশন বিষয়টি দেখবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা/হাসান/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিয়ানমারে ৪.৯ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাত
মিয়ানমারের (বার্মা) উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর ফালামের ৮১ কিলোমিটার পূর্বে একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৯। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এ তথ্য দিয়েছে।
ইউএসজিএসের ওয়েবসাইটে বলা হয়, স্থানীয় সময় সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৫৫ মিনিটে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ১০৬ দশমিক ৮ কিলোমিটার গভীরে।
ইউএসজিএসের বরাত দিয়ে এই ভূমিকম্পের একই তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাদের ওয়েবসাইটে বলা হয়, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে ৪৩১ কিলোমিটার দূরে।
ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি মিয়ানমার। দুটি টেকটোনিক প্লেট—ভারত ও ইউরেশিয়া প্লেটের মধ্যে মিয়ানমারের অবস্থান, যা দেশটিকে ভূমিকম্পের বিশেষ ঝুঁকিতে ফেলেছে।
এ দুটি প্লেটের মধ্যবর্তী সীমানাকে ‘সাইগং ফল্ট’ বলা হয়। বিশেষজ্ঞরা এটিকে মিয়ানমারের মান্দালয় ও ইয়াঙ্গুনের মতো শহরগুলোর মধ্য দিয়ে উত্তর থেকে দক্ষিণে প্রায় ১ হাজার ২০০ কিলোমিটার (৭৪৫ মাইল) দীর্ঘ একটি সরলরেখা হিসেবে বর্ণনা করেছেন, যা লাখো মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।
চলতি বছরের ২৮ মার্চ মিয়ানমারে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। এর ভয়াবহ প্রভাব পড়েছিল প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও। ভূমিকম্পের কাঁপুনি বাংলাদেশ, ভারত, কম্বোডিয়া ও চীন পর্যন্ত অনুভূত হয়েছে। ভূমিকম্প-বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত ২০ বছরে মিয়ানমারে এত মাত্রার ভূমিকম্প হওয়ার নজির নেই।
আরও পড়ুন‘এমন ভূমিকম্প গত ২০ বছরে দেখা যায়নি মিয়ানমারে’২৮ মার্চ ২০২৫