Samakal:
2025-11-03@00:26:27 GMT

কলকাতা বিমানবন্দরে আগুন

Published: 5th, February 2025 GMT

কলকাতা বিমানবন্দরে আগুন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার সকালের দিকে বিমানবন্দরের একটি অংশে নির্মাণ কাজ চলাকালীন এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনভেয়র বেল্টের কাছে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকরা ঝালাইয়ের কাজ করছিলেন, এমন সময় ফুলকি থেকে আগুন ধরে যায়। অগ্নিকাণ্ডে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ঝালাইয়ের কাজ চলাকালীন বিমানবন্দরের একটি ফ্লেক্সে আগুন ধরে যায়। এই আগুন বিমানবন্দরের কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় টেলিফোনে দমকল বাহিনীকে আগুনের ঘটনা জানানো হয়। এই ঘটনায় বিমানবন্দরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে নির্মাণ শ্রমিকদের কয়েক মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বিমানবন্দরের আবর্জনা ফেলার স্থানেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এতে বিমানবন্দরে বিমানের উড্ডয়ন-অবতরণে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।

বুধবার থেকে কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনে বিশ্বের ৪০টি দেশের ২০০ জন প্রতিনিধি-সহ ৫ হাজারের বেশি অতিথি অংশ নেবেন। ইতোমধ্যে অতিথিদের অনেকেই কলকাতায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন। বিজিবিএসের অতিথিদের আগমনের মাঝেই বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড সেখানে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কলক ত কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ