Samakal:
2025-08-01@09:13:04 GMT

কলকাতা বিমানবন্দরে আগুন

Published: 5th, February 2025 GMT

কলকাতা বিমানবন্দরে আগুন

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কলকাতার নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সময় বুধবার সকালের দিকে বিমানবন্দরের একটি অংশে নির্মাণ কাজ চলাকালীন এই অগ্নিকাণ্ড ঘটে।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কনভেয়র বেল্টের কাছে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সেখানে নির্মাণ শ্রমিকরা ঝালাইয়ের কাজ করছিলেন, এমন সময় ফুলকি থেকে আগুন ধরে যায়। অগ্নিকাণ্ডে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ঝালাইয়ের কাজ চলাকালীন বিমানবন্দরের একটি ফ্লেক্সে আগুন ধরে যায়। এই আগুন বিমানবন্দরের কিছু অংশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় টেলিফোনে দমকল বাহিনীকে আগুনের ঘটনা জানানো হয়। এই ঘটনায় বিমানবন্দরে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে নির্মাণ শ্রমিকদের কয়েক মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। 

বিমানবন্দর সূত্র বলছে, বিমানবন্দরের আবর্জনা ফেলার স্থানেও আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে এতে বিমানবন্দরে বিমানের উড্ডয়ন-অবতরণে কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি।

বুধবার থেকে কলকাতায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন (বিজিবিএস) শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এই সম্মেলনে বিশ্বের ৪০টি দেশের ২০০ জন প্রতিনিধি-সহ ৫ হাজারের বেশি অতিথি অংশ নেবেন। ইতোমধ্যে অতিথিদের অনেকেই কলকাতায় পৌঁছাতে শুরু করেছেন। বিজিবিএসের অতিথিদের আগমনের মাঝেই বিমানবন্দরে অগ্নিকাণ্ড সেখানে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কলক ত কলক ত

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ