গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় বাস, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ ও ধাক্কায় একজন নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের ঘোষগাতি বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে।

তাৎক্ষণিকভাবে নিহত ব্যক্তির পরিচরয় পাওয়া যায়নি। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে ৫ জনকে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যরা প্রথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

থানা–পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেসের যাত্রীবাহী একটি বাস আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ঘোষগাতি বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের বাসটির সংঘর্ষ হয়। একই সময় একটি কাভার্ড ভ্যান পেছন থেকে ট্রাকটিকে ধাক্কা দেয়। পরে অন্য একটি ট্রাকের সঙ্গে কাভার্ড ভ্যানের সংঘর্ষ হয়। এতে সড়কের দুই দিকের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ সড়ক থেকে যানবাহন সরিয়ে নেয়। ধীরে ধীরে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই বন্ধু নিহত
এদিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  

নিহত দুই তরুণ হলেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের ইরাজ খানের ছেলে ওয়ালিদ খান (১৯) ও হুমায়ুন মোল্লার ছেলে সিয়াম মোল্লা (১৯)। তাঁরা কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া সরকারি এসকে কলেজের উচ্চমাধ্যমিক দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গোপালগঞ্জ শহর থেকে দুই বন্ধু ওয়ালিদ ও সিয়াম মোটরসাইকেলে করে বাড়িতে ফিরছিলেন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের গোপীনাথপুরে পৌঁছালে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে দুজন গুরতর আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসক ওয়ালিদকে মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত সিয়ামের মৃত্যু হয় ঢাকায় নেওয়ার পথে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ প লগঞ জ সদর উপজ ল র স ঘর ষ সড়ক র

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ