শেরপুরের তিন আসনে জামায়াতের এমপি প্রার্থী ঘোষণা
Published: 6th, February 2025 GMT
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেরপুরের তিনটি আসনে এমপি প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। গতকাল বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান।
জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থীরা হলেন– শেরপুর-১ (সদর) আসনে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি হাফেজ রাশেদুল ইসলাম, শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় বিতর্ক সম্পাদক ও জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মু.
তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা হাফিজুর রহমান ও সেক্রেটারি জেনারেল নূরুজ্জামান বাদল। তাদের ভাষ্য, দেশে জামায়াতে ইসলামীই একমাত্র দল যারা তৃণমূলের মতামতের ভিত্তিতে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ও সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে সংসদ সদস্য প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে। নিয়মিত কর্মপরিষদের বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মতামত নিয়ে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন। সেই সঙ্গে সব প্রার্থীকে এখন থেকেই নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে মাঠে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার চালানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জ ম য় ত ইসল ম ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল