Risingbd:
2025-11-03@06:14:15 GMT

শিশুকে অতিরিক্ত শাসন করছেন?

Published: 6th, February 2025 GMT

শিশুকে অতিরিক্ত শাসন করছেন?

অনেক বাবা মা শিশুকে অতিরিক্ত শাসন করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত শাসন করলে শিশুর মানসিক বৃদ্ধি ধীর হয়ে যেতে পারে। এ ছাড়া, শিশুর শেখার ক্ষমতা কমে যেতে পারে। আরও ভয়াবহ তথ্য হচ্ছে শিশুকে অতিরিক্ত শাসন করলে শুধু মানসিক ক্ষতিই হয় না, তার শারীরিক ক্ষতিও হয়ে তাকে। অতিরিক্ত শাসনের ফলে শিশুর যেসব ক্ষতি হয় জেনে নিন।

আত্মবিশ্বাস কমে যেতে পারে: অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় শিশু যখন কিছু বলতে যায় তখন বাবা-মায়েরা তাকে আটকে দেন। এতে শিশুর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়, আত্মবিশ্বাসও অনেকটা হ্রাস পায়।

তর্ক করার প্রবণতা বারে: শিশুকে কথা বলতে বাধা দিলে বাবা মায়ের সঙ্গে সম্পর্কে অবনতি ঘটতে পারে এবং শিশুর তর্ক করার প্রবণতা বাড়তে পারে।

সৃজনশীল ক্ষমতা কমে যায়: শিশু কোনো কাজ করতে গেলেই যদি বাধা পায় তাহলে ‘নার্ভাসনেস’ এ ভুগতে পারে। শিশুর মনে রাগ জন্মাতে পারে। একটা পর্যায়ে শিশু তার মনে কথা শেয়ার করার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারে।

করণীয়: শিশুকে কথা বলতে দিন। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। সে কি বলতে চায় বোঝার চেষ্টা করুন। আপনি যা বলতে চান তা বুঝিয়ে বলুন। প্রয়োজনে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। শিশুকে তিরস্কারের বদলে প্রশংসা করুন। যেকোন মানুষ নিজের প্রশংসা শুনতে পছন্দ করে। শিশুর ছোট ছোট কাজগুলো কত সুন্দর, কী করলে আরও বেশি সুন্দর হতে পারে তা বলুন। এতে সে কাজের প্রতি আরও উৎসাহী হবে। আপনার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক গড়তে চেষ্টা করবে। তবে অতিরিক্ত প্রশংসা না করাই ভালো। অতিরিক্ত প্রশংসা অতিরিক্ত শাসনের মতোই ক্ষতিকর হতে পারে। 

ঢাকা/লিপি/এনএইচ/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কারা বেশি কাঁদেন? 

কান্না একটি এমন একটি স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর মানসিক প্রক্রিয়া যা শরীরকে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।  গবেষণায় দেখা গেছে যে, ‘‘যারা বেশি কাঁদেন তাদের মধ্যে কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য দেখা যায়। এর কারণ কখনও মানসিক কখনও শারীরিক আবার কখনও পারিপার্শ্বিক বিষয়।’’ বেশি কান্না করা মানুষের আচরণে বৈশিষ্ট্য দেখা যায়।

উচ্চ মানসিক সংবেদনশীলতা 
এই ব্যক্তিরা সাধারণত অন্যের আবেগ ও অনুভূতি খুব সহজেই বুঝতে পারেন এবং গভীরভাবে অনুভব করেন। সামান্য ঘটনায় তারা বেশি প্রভাবিত হন। 

আরো পড়ুন:

যেসব কারণে মানুষ স্বর্ণ জমায়

বিশ্বে কারা বেশি পড়েন, কোন বই বেশি পড়েন?

সহানুভূতির প্রবণতা 
যাদের মধ্যে সহানুভূতির মাত্রা বেশি, তারা প্রায়শই বেশি কাঁদেন। তারা নিজেদের পাশাপাশি অন্যের কষ্টেও সহজে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। 

মানসিক চাপ বা বিষণ্নতা 
দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ, উদ্বেগ বা বিষণ্নতার কারণে মানুষ বেশি কাঁদতে পারে। কান্না এক্ষেত্রে জমে থাকা মানসিক চাপ কমানোর একটি উপায় হিসেবে কাজ করে। 

হরমোনের প্রভাব 
হরমোনের তারতম্য, বিশেষ করে নারী ও পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে, কান্নার প্রবণতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ইস্ট্রোজেন এবং প্রোজেস্টেরনের মতো হরমোনের মাত্রা কান্নার সাথে সম্পর্কিত।

অতীত অভিজ্ঞতা 
অতীতের কোনো দুঃখজনক বা আঘাতমূলক ঘটনা মানুষের মধ্যে সহজে কেঁদে ফেলার প্রবণতা তৈরি করতে পারে।

যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কান্না
কিছু মানুষের জন্য কান্না হল নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করার একটি উপায়, কারণ তারা হয়তো কথা বলে তা প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না। 

উল্লেখ্য, যদি অতিরিক্ত কান্না দৈনন্দিন জীবনকে প্রভাবিত করে বা বিষণ্নতার লক্ষণ হিসেবে দেখা দেয়, তাহলে একজন মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কারা বেশি কাঁদেন? 
  • তিন কারণে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে, অক্টোবরের বৃষ্টিও ভোগাবে