বন্দরে বাসা ছেড়ে দেয়ায় ক্ষোভে দীপক কুমার সাহা (৪৪) নামে এক  ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করেছে বাড়িওয়ালা।

 বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বন্দর আমিন  আবাসিক এলাকায় ৩ নং গলিতে  এ হামলার ঘটনা ঘটে।   এ ঘটনায় ওই ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাড়িওয়ালা কৌশিক সহ ৩ জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। 

জানাগেছে, কিশোরগঞ্জ কুলিয়ারচর উপজেলার দীপক কুমার সাহা বন্দর আমিন  আবাসিক এলাকায় ৩ নং গলি কৌশিক মিয়ার বাড়িতে দীর্ঘ ৫ বছর যাবত ভাড়ায় বসবাস করে আসছিল ।

গত বুধবার সকালে দুই মাসের অতিরিক্ত ভাড়া পরিশোধ করে  একই এলাকায় অন্য একটি ভাড়া বাসায়  উঠেন ব্যবসায়ী দীপক কুমার সাহা। বাসা ছেড়ে দেয়ার ক্ষোভে  বাড়িওয়ালা কৌশিক ও তার লোকজন ভাড়াটিয়া দীপক সাহাকে রাতে বাড়ির সামনে একা  পেয়ে ধারালো চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাস্তায় ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন।  

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি তরিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি।  তদন্ত পূর্বক আইনিগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সিরিয়ার পর নিজেদের কেন টার্গেট মনে করছে তুরস্ক

মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক ভূরাজনীতিতে এক উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের মধ্যে ইসরায়েল সম্প্রতি সিরিয়ার দামেস্ক ও সুওয়াইদার গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েল দাবি করেছে যে সুওয়াইদায় দ্রুজ মিলিশিয়া ও সুন্নি বেদুইন উপজাতিদের মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে দ্রুজদের রক্ষা করতে এই হামলাগুলো চালানো জরুরি ছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, সিরিয়ায় ইসরায়েলের হামলার ফলে নতুন করে যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে, তাতে তুরস্ককে একটি নাজুক পরিস্থিতিতে ফেলে দিয়েছে। আঙ্কারা এখন সিরিয়ার পরিবর্তিত পরিস্থিতির ওপর তাদের কৌশলগত অবস্থান পুনরায় মূল্যায়ন করছে। সীমান্ত নিরাপত্তা, সন্ত্রাস দমন ও সিরিয়ার রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে তুর্কি রাজনীতিবিদেরা নজিরবিহীন চাপের মধ্যে রয়েছেন।

দ্য নিউ আরবকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তুর্কি নিরাপত্তা বিশ্লেষক এরসান এরগুর ব্যাখ্যা করেছেন যে সিরিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা করা এখন তুরস্কের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ভিত্তিস্বরূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আঙ্কারা এখন আর সিরিয়ার ইস্যুকে কেবল একটি বৈদেশিক নীতির বিষয় হিসেবে দেখে না, বরং এটিকে অভ্যন্তরীণ স্থিতিশীলতার বিষয় হিসেবে দেখে।’ তিনি আঞ্চলিক বিভাজন থেকে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়া এবং আবার তুরস্কে শরণার্থীর ঢল নামতে পারে—এমন আশঙ্কার কথাও উল্লেখ করেন।

এরগুর বলেন, তুরস্কের কৌশলটি তার ‘সন্ত্রাসমুক্ত তুরস্ক’ প্রকল্পের ওপর ভিত্তি করে তৈরি। তুরস্কের এ প্রকল্পটি আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে যুক্ত করে। তুরস্কের ভূরাজনৈতিক অবস্থান, আঞ্চলিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা নেটওয়ার্কগুলো সঙ্গে গভীর যুক্ততার কারণে আঙ্কারা সিরিয়াকে স্থিতিশীল করতে চায়। এটি শুধু তার সীমান্ত রক্ষা করার জন্য নয়, বরং তার আশপাশে ব্যর্থ রাষ্ট্রগুলোর উত্থান রোধ করার জন্যও।

ইসরায়েলি হামলার পর সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেনাবাহিনী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দপ্তরের কাছে ধোঁয়ার কুণ্ডলী দেখা যায়। ১৬ জুলাই ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ