চেম্বার থেকে সরে দাঁড়ালেন মডেল মাসুদসহ ৭ প্রার্থী
Published: 6th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সদ্য সাবেক সভাপতি মডেল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুজ্জামানসহ মোট ৭ জন প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টায় চানঁমারীস্থ সংগঠনটির কার্যালয়ে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার সাহা এ তথ্য জানান।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, নির্বাচন বোর্ডের সদস্য মাহমুদ হোসেন, স্বপন চৌধুরী ও নির্বাচন বোর্ডের সচিব হাবিবুর রহমান।
নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রবীর কুমার সাহা জানান, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ৩ ফেব্রুয়ারী প্রকাশিত বৈধ প্রার্থীদের মধ্য থেকে জেনারেল গ্রুপের ৬ জন মাসুদুজ্জামান, রতন কুমার সাহা, মোহাম্মদ বজলুর রহমান, মো: আ: হাই রাজু, মাহফুজুর রহমান খান (মাহফুজ) ও এম নাসির উদ্দীন এবং অ্যাসেসিয়েট গ্রুপের ১ জন মোহাম্মদ মনিরুল ইসলামসহ মোট ৭ জন প্রার্থী বুধবার (০৫ ফেব্রুয়ারী) তাদের প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেন। তফসিল অনুযায়ী বাকী ১৯ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণা করা হচ্ছে।
চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন, জেনারেল গ্রুপে মুস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া, মোহাম্মদ আবু জাফর, মাহবুবুর রহমান স্বপন, রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরী, গোলাম মুহাম্মদ কায়সার, মো: সোহাগ, মো: গোলাম সারোয়ার (সাঈদ), মো: মজিবুর রহমান, হোসেন মোহাম্মদ তানিম তৌহিদ, আহমেদুর রহমান তনু, মো: হানিফ মিয়া, আব্দুল্লাহ্ আল মামুন।
অ্যাসেসিয়েট গ্রুপে মো: মোরশেদ সারোয়ার, সোহেল আক্তার, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, আশিকুর রহমান, আলহাজ¦ মোহাম্মদ জাকারিয়া ওয়াহিদ, মোস্তফা এমরানুল হক। এবং ট্রেড গ্রপে শ্রী বিকাশ চন্দ্র সাহা।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রবীর কুমার সাহা বলেন, যেহেতু এ ১৯ জন প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মত আর কোন প্রার্থী নেই। সুতরাং এক্ষেত্রে নির্বাচনের কোন সুযোগ থাকছেনা। এ ১৯ জন প্রার্থীই নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নতুন পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হচ্ছেন। এখন তারাই এ সংগঠনের সভাপতি ও সিনিয়র সহ সভাপতিসহ তাদের নেতৃত্ব নির্বাচিত করবেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জন প র র থ র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।