ঢাকার অদূরে সাভার উপজেলার হেমায়েতপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম ও তাঁর ছোট ভাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল আলমের পৈতৃক বাসভবনে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র–জনতা।

আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে তাঁরা ওই বাসভবনে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে সেখান থেকে চলে যান তাঁরা। এ সময় কয়েকজনকে পিটুনিও দেন স্থানীয় লোকজন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বৃহস্পতিবার সকালে ‘মার্চ টু মঞ্জুরি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ছাত্র-জনতা। ঘোষণা অনুসারে বিকেলে অর্ধশত ছাত্র-জনতা সাভারের পাকিজা মোড়ে জড়ো হন। পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে তাঁরা হেমায়েতপুরের মঞ্জুরুল–ফখরুলের পৈতৃক বাসভবন রাজ মঞ্জুরির সামনে আসেন। পরে তাঁরা সেখানে হ্যান্ডমাইকে দেশ থেকে সব স্বৈরাচারকে বিতাড়ন ও স্বৈরাচারের আস্তানা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন। তাঁরা রাজ মঞ্জুরির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করেন। এ ছাড়া ভবনের বাইরে একটি অংশে আগুন দিতে গেলে স্থানীয় কয়েকজন বাধা দেন।

একপর্যায়ে ভবন ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের বিষয় নিয়ে ছাত্র–জনতার সঙ্গে স্থানীয় লোকজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। পরে সেখানে শতাধিক স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে ভাঙচুর করতে আসা ছাত্র-জনতাকে ধাওয়া দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেন। এ সময় তাঁরা কয়েকজনকে ধরে পিটুনিও দেন।

স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মঞ্জুরুল–ফখরুল কোনো অন্যায় করে থাকলে আইন অনুসারে বিচার হবে। ফাঁসি হোক, জেল হোক সেটি আইনের মাধ্যমে হোক। তাঁরা তো বাড়িতে নেই, তাহলে ভাঙচুর কেন করতে হবে। এখানে আগুন দিলে আশপাশের বাড়িঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়বে। তাদের বোঝানোর পর কথা না শোনায় আমরা ধাওয়া দিয়ে তাদের সরিয়ে দিয়েছি। আবারও কেউ এমন কাজ করতে এলে এলাকাবাসী তাদের প্রতিহত করবে।’  

স্থানীয় বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, ‘ওরা দেশের জন্য কী করেছে। আজকে এই বাড়িতে আগুন দিতে আসছে। এখানে আগুন দিলে এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়বে। আমরা এটা হতে দেব না। তাই তাদের ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।’

সামগ্রিক বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় নেতৃত্বে দেওয়া এক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসরদের বিরুদ্ধে আমাদের আন্দোলন চলছে, চলবে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে রাজিবের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলাম। এর মধ্যে মঞ্জুরুলের আত্মীয়স্বজন ও পেটুয়া বাহিনীর সদস্যদের একটি অংশ নিজেরা পরিস্থিতি ঘোলাটে করে। এরপর তারা ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমাদের ২-৩ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স থ ন য় ল কজন ছ ত র জনত ব সভবন আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ

জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনরত বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের যমুনা অভিমুখী মিছিলটি পুলিশি বাধায় ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনকারীদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড, কাঁদানের গ্যাসের শেল ও জলকামান থেকে পানি ছোড়ে।

আজ সোমবার বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা। মিছিলটি হাইকোর্ট সংলগ্ন কদম ফোয়ারার সামনে পৌঁছালে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে শিক্ষকেরা পুলিশের ব্যারিকেড সরানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের ওপর সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে এবং জলকামানের পানি ছিটিয়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে। একপর্যায়ে আন্দোলনকারীরা পিছু হটেন।

তবে বাংলাদেশ বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সাধারণ শিক্ষক ঐক্য পরিষদের নেতা আব্দুর রহিম সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, হাইকোর্টের সামনে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয় এবং লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে। এতে ১০-১২ জন শিক্ষক আহত হন।

বিকেল চারটার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার উদ্দেশে পদযাত্রা শুরু করেন শিক্ষকেরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যমুনা অভিমুখী বেসরকারি প্রাথমিক শিক্ষকদের মিছিল, পুলিশের বাধায় ছত্রভঙ্গ