গত ছয় মাসে উড়োজাহাজের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

বাংলাদেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণের বিভিন্ন পর্যায়ে উড়োজাহাজের টিকিটের উচ্চ মূল্য পর্যালোচনাসহ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে। কমিটি আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে গত ছয় মাসে উড়োজাহাজের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতকরণে যাবতীয় বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে।

ওই প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা ব্যক্তিকে শাস্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং টিকিটের উচ্চমূল্যের বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ১৩ সদস্য সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

সভায় এখন থেকে যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও পাসপোর্টের কপি ছাড়া যাতে টিকিট বুকিং করা না যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকে বুকিং করা টিকিট পরবর্তী তিনদিনের (৭২ ঘণ্টা) মধ্যে ইস্যু না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এয়ারলাইনস ওই টিকিট বাতিল নিশ্চিত করবে।

বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এয়ারলাইনস বা ট্রাভেল এজেন্সি গ্রুপ বুকিং মাধ্যমে ব্লককৃত টিকিট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্রমণকারী যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বরসহ (পাসপোর্টের কপিসহ) টিকিট ইস্যু নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় তিনদিনের মধ্যে এয়ারলাইনস তা বাতিল নিশ্চিত করবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দুঃস্বপ্নের শৈশব থেকে আপত্তিকর প্রস্তাব, পর্দার আড়ালে জয়ার কঠিন জীবন

টেলিভিশনের পর্দায় তিনি ছিলেন ব্যাপক আলোচিত, কিন্তু বাস্তব জীবনের গল্প আরও কঠিন। ‘কিউঁকি সাস ভি কভি বহু থি’ সিরিয়ালে ‘পায়েল’ চরিত্রে অভিনয় করে ঘরে ঘরে পরিচিতি পেলেও জয়া ভট্টাচার্যের নিজের জীবনে ছিল যন্ত্রণার দীর্ঘ ছায়া—নির্যাতন, অবহেলা আর অবিরাম সংগ্রাম।

শুরুর গল্প
১৯৭৮ সালে লক্ষ্ণৌয়ের এক বাঙালি পরিবারে জন্ম জয়ার। ছোটবেলায় পাড়ার লোকজন তাঁকে আদর করে ডাকত ‘বুলবুল’। কিন্তু সেই ডাকে উষ্ণতার চেয়ে বেদনাই বেশি ছিল। নিজের শৈশবের কথা বলতে গিয়ে তিনি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন—মা-বাবার অমিল, অপূর্ণতা, ক্রোধের আগুন সবই এসে পড়েছিল তাঁর ওপর। চপেটাঘাত, জুতো—কী দিয়ে যে মার খেয়েছেন, তার হিসাব নেই। এই নির্যাতন তাঁকে জেদি করেছে, আবার ভেতরটা ক্ষতবিক্ষতও করেছে।

জয়ার কথায়, মা তাঁর প্রতি কখনো আস্থাশীল ছিলেন না। অন্যের কথা সহজেই বিশ্বাস করতেন, এমনকি নিজের মেয়েকেও অপমান করতেন সামনাসামনি। তৃতীয় শ্রেণি থেকে কলেজপড়ুয়া হওয়া পর্যন্ত তাঁদের পরিবার একটি ছোট ঘরে কোনোরকমে টিকে ছিল। তাঁর বাবা ছিলেন আত্মসম্মানী, সৎ মানুষ; কিন্তু তিনিও নানা অপমানে আঘাত পেয়েছেন পুরো জীবনটা।

জয়া ভট্টাচার্য। ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ