উড়োজাহাজের টিকিটের দাম বাড়ানোর সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত কমিটি গঠন
Published: 7th, February 2025 GMT
গত ছয় মাসে উড়োজাহাজের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করতে সাত সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। বৃহস্পতিবার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক জরুরি সভায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
বাংলাদেশ থেকে বিদেশ ভ্রমণের বিভিন্ন পর্যায়ে উড়োজাহাজের টিকিটের উচ্চ মূল্য পর্যালোচনাসহ যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের লক্ষ্যে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
তদন্ত কমিটির সভাপতি করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবকে। কমিটি আগামী ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে গত ছয় মাসে উড়োজাহাজের টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিতকরণে যাবতীয় বিষয় তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করবে।
ওই প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্ট সংস্থা বা ব্যক্তিকে শাস্তির জন্য সুপারিশ করবে এবং টিকিটের উচ্চমূল্যের বিষয়টি সার্বক্ষণিক তদারকির জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর ১৩ সদস্য সমন্বয়ে একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।
সভায় এখন থেকে যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বর ও পাসপোর্টের কপি ছাড়া যাতে টিকিট বুকিং করা না যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও বৃহস্পতিবার থেকে বুকিং করা টিকিট পরবর্তী তিনদিনের (৭২ ঘণ্টা) মধ্যে ইস্যু না হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে এয়ারলাইনস ওই টিকিট বাতিল নিশ্চিত করবে।
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এয়ারলাইনস বা ট্রাভেল এজেন্সি গ্রুপ বুকিং মাধ্যমে ব্লককৃত টিকিট আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ভ্রমণকারী যাত্রীর নাম, পাসপোর্ট নম্বরসহ (পাসপোর্টের কপিসহ) টিকিট ইস্যু নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় তিনদিনের মধ্যে এয়ারলাইনস তা বাতিল নিশ্চিত করবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চিকিৎসায় ‘সাড়া দিচ্ছেন’ খালেদা জিয়া
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া চিকিৎসকদের দেওয়া চিকিৎসা গ্রহণ করার পাশাপাশি ‘রেসপন্স’ (সাড়া দেওয়া) করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেছেন, চিকিৎসকেরা যে চিকিৎসা দিচ্ছেন, সেটি উনি (খালেদা জিয়া) গ্রহণ করতে পারছেন এবং সেটি নিয়ে উনি সত্যিকার অর্থে সাড়া দিচ্ছেন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে এক ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়ে সাংবাদিকদের জানান চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘মনে রাখতে হবে, উনি (খালেদা জিয়া) একজন রোগী।...ইচ্ছা করলেই আমি চিকিৎসক হিসেবে সকল কিছুই আপনাদের কাছে আমি প্রকাশ্যে বলে দেওয়া...এটি মেডিকেল সায়েন্সে কোনো অবস্থাতেই পারমিট করে না।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের স্বাস্থ্যের বিষয়ে কোনো গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান জাহিদ হোসেন।
খালেদা জিয়া ১৭ দিন ধরে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। তাঁর সংকটাপন্ন শারীরিক অবস্থা নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ রয়েছে।
অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম চলছে। তাঁর নানা শারীরিক জটিলতার মধ্যে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদ্যন্ত্র ও ফুসফুসের সমস্যা ওঠানামা করছে বলে মেডিকেল বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, কিডনির সমস্যার কারণে খালেদা জিয়ার শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গিয়েছিল, সেটি বেড়েছে। কিডনির কার্যকারিতা সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে, ফুসফুসেরও উন্নতি আছে। তবে তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন। এ ছাড়া নিয়মিত চিকিৎসার অংশ হিসেবে তাঁর কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়মিত করা হচ্ছে। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার তারিখ পেছানো হয়।
শাশুড়ি খালেদা জিয়াকে দেখতে লন্ডন থেকে ঢাকায় পৌঁছানোর পর এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রতিদিনই যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমান। বর্তমানে জুবাইদা রহমান খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে চিকিৎসার বিষয়টিতে যুক্ত রয়েছেন।
আরও পড়ুনএভারকেয়ারের সামনে কড়া নিরাপত্তা, বিএনপি নেতা–কর্মীদের ভিড় নেই৫২ মিনিট আগে