Samakal:
2025-05-01@05:06:11 GMT

পালকের চিহ্নগুলো

Published: 7th, February 2025 GMT

পালকের চিহ্নগুলো

আমি আগেই লিখেছি আংটি পরাতে এসে আশরাফের সাথে আমার কাবিন পড়ানো হয়। কাবিনের চার মাস পরে আমার আয়োজন করে বিয়ে হয়।
কাবিনের কয়েক মাস আগে একটা ঘটনা ঘটে। আমরা মীনা বাজার করে একেকজন একেকটা রেস্টুরেন্ট দিয়েছিলাম। 

তখন আনন্দ মোহনে পড়া একজন ছেলে যে ভালো গান গাইত এবং অভিনয় করত, সে রেস্টুরেন্টে চটপটি খেতে এসে আমার প্রেমে পড়ে যায়। শর্টকাটে লিখতে গেলে তা-ই হয়েছিল।

অনেক মেয়ে হ্যান্ডসাম সেই ছেলের প্রেমে পড়ত। যথারীতি আমাকে পাত্তা দিতে না দেখে সহজ হিসাবে আমার প্রতি তার আকর্ষণ বেড়ে যায়। সে আমার গতিবিধি লক্ষ করতে করতে একদিন আমাদের বাসায় চলে আসে। আমাকে নিজের ভালো লাগার কথা জানালে, আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিই, আমি অন্য একজনকে ভালোবাসি, জলদিই আমাদের বিয়ে হবে। ছেলেটা প্রথম একটু ধাক্কা খায়, এরপর নিজেকে সামলে বলে, আমি আসলে আনন্দ মোহন কলেজের নবীন বরণ উৎসবের জন্য আপনার কাছ থেকে একটা স্ক্রিপ্ট চাইতে এসেছি। আমি প্রোগ্রামের সবকিছু আপনাকে দেব, প্লিজ আপনি একটা সুন্দর স্ক্রিপ্ট তৈরি করে দিলে খুব হেল্প হবে আমার।

আমি বলি, আমি যে সাহিত্য করি, আপনি কীভাবে জানেন?

সে তখন জানায় মীনা বাজারের আগেও দু’তিনটা সাহিত্য অনুষ্ঠানে আমাকে দেখেছে, কিন্তু সামনে আসেনি।

আমি যত তাকে এড়াতে চাই, তত তার অনুরোধ তীব্র হতে থাকে। একটা পর্যায়ে তাকে এড়ানোর জন্য আমি রাজি হয়ে যাই।

এর মধ্যে আমি নানা দিকে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। এ ধরনের কাজে আমার আগ্রহ নেই বলে আর এগোয় না কাজটা। এর মধ্যে এই স্ক্রিপ্টের জন্য দু’দিন এসে ঘুরে যাওয়ার মুখে বলে, এতটা অহংকার ঠিক না, কাউকে কথা দিলেও সেটার গুরুত্ব যখন থাকে না! জীবনে কথা দিয়ে মোটামুটি ভালো কিছু বিপদে পড়েছিলাম, এর মধ্যে এটা উল্লেখযোগ্য। 

ছেলেটার কথা, সৌন্দর্য আমাকে যে টানেনি, তা নয়। কিন্তু এটা একটা তাৎক্ষণিক বিষয়। আমি তো ঢাকায় আশরাফ আর আমার সংসার করার জন্য ততদিনে নিজেকে গুছিয়ে নিয়েছি।

ছেলেটার শহরে বিশাল বাড়ি। দেখা, শিল্পগুণ সব মিলিয়ে নিজের প্রতি গভীর আস্থায় সে ভেবেছিল, আমি বিয়ের কথা তাকে এড়াতে বলেছি। মিন করিনি। এর মধ্যেই আমার কাবিন হয়ে যায়। সেই ছেলে নাকি আমার কাবিনের পরদিন কার কাছে শুনে আমার বান্ধবী রুবীর বাসায় এসে খুব কেঁদেছিল। আমার মন খারাপ হয়ে যায়। এইসব কথাই আমি চিঠিতে, সামনাসামনি আশরাফকে শেয়ার করতাম।

ছেলেটা নিজেকে সামলে এক মাস পরে আসে। আমি স্ক্রিপ্ট তৈরি রেখেছিলাম। ভেবেছিলাম, রুবীর কাছে দিয়ে রাখব। যা হোক, সে স্ক্রিপ্ট নিয়ে চুপচাপ চলে যায়। আমার দিকে ঠিকঠাক তাকায় না পর্যন্ত। এর মধ্যে একজন আমাকে জানায়, আমাকে আনন্দ মোহন কলেজের বাংলার টিচার একবার যেতে বলেছেন। আমি যাই। দেখি সেখানে ছেলেটা দাঁড়িয়ে রয়েছে। সপ্তাহ পরে অনুষ্ঠান। টিচার বলেন, আমি নানা জায়গায় তোমাকে ছড়া, গল্প পড়তে শুনেছি, তোমার অসাধারণ স্ক্রিপ্ট উপস্থাপন করার মতো স্টুডেন্ট পাওয়া মুশকিল, আমি খুব খুশি হব, তুমি যদি উপস্থাপনা কর।

আমি যত এড়াতে চাই, ততই স্যার আমাকে নানাভাবে বোঝাতে থাকেন। পরে মনে হলো, এক-দুই মাস পরে তো ময়মনসিংহ ছেড়ে চলেই যাব, করে যাই না হয় অভিজ্ঞতার বাইরের একটা কাজ।

পুরো অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল সেই ছেলে। আমি আশরাফকে উস্কাতে কেবলই ছেলেটার রূপ, অভিনয়, গানের প্রশংসা করতাম। আশরাফ কেমন যেন একটা প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়ে গিয়ে নার্ভাস হয়ে যেত। আমি কল্পনাও করিনি, এইসবের জের অনেক দূর গিয়ে ঠেকবে। 

আশরাফ যথারীতি ছেলেটাকে নিয়ে জেলাস ছিল, বলেছিল যথাসম্ভব এড়িয়ে চল, কিন্তু আমার কেবলই মনে হচ্ছিল, আমি ভুল কিছু করছি না।
তখন চিঠির যুগ। 

আমি আশরাফের একটা চিঠি কীভাবে যেন মিস করি, যেখানে লেখা ছিল, সে আগের মতোই সারাদিনের জন্য ময়মনসিংহ আসছে। 

যেদিন আসার কথা লিখেছিল, সেদিনই আমার আনন্দ মোহনের অনুষ্ঠান। আশরাফ পাশের বাসায় ফোন করে আমাকে ডেকেছিল, ওরা সব সময় ডেকে দেয়, সেবার ওদের বাড়িতে কেউ ছিল না বলে তারা আমাকে জানিয়ে দেবে বলে তাকে আশ্বস্ত করে। তারাও হঠাৎ একটা বিপাকে পড়ে ভুলে যায়। আমি যখন মঞ্চে অনুষ্ঠান করছি, আশরাফ আমাদের বাসায় আসে। বাসায় অত বিস্তারিত জানিয়ে যাইনি। সাহিত্যের অনুষ্ঠানে যাচ্ছি, আমাদের বাসায় এটুকু জানানোই যথেষ্ট ছিল। টেলিফোনহীন, মোবাইলহীন অবস্থায় আশরাফ বাসায় বসে আমার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। যখন বিকেল গড়াচ্ছে, আমার ছোট ভাই জুয়েল আশরাফকে বলে, একটা সুন্দর ছেলে দু’দিন এসেছিল, তারা কীসব কাগজ হাতে নিয়ে কথা বলেছে। আশরাফ তার নাম বললে জুয়েল বলে, হ্যাঁ, উনিই। আশরাফ আর কোনো কথা না বলে সবার অনুরোধ উপেক্ষা করে বেরিয়ে যায়। আমি সন্ধ্যায় ফিরি।

আমাদের বাড়ির সবাই তখন আমার ওপর মহা ক্ষিপ্ত! বাসায় তোলপাড় শুরু হয়। তুই কি ওই ছেলের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছিস? তুই কী এই বিয়ে ভেঙে দিতে চাস? এরা এসব কী বলছে? মাথা খারাপ হয়ে গেছে এদের?

আমি অস্থির হয়ে বড় ভাই শিপনকে বলি, আমাকে জলদি ঢাকায় নিয়ে চলো। সারারাত জার্নি করে শংকরে আশরাফের দোতলা সুন্দর ফ্ল্যাটে এসে দেখি, ঘড়িতে সকাল এগারোটা বেজে গেছে। নিশ্চিত আশরাফ অফিসে চলে গেছে ভেবেও দরজার সামনে দাঁড়াই। ভেতর থেকে বন্ধ। আশ্চর্য! 

সবচেয়ে তাজ্জব আমরা নক করে করে দরজা ভেঙে ফেলার উপক্রম করছি, দরজা খোলার নাম নেই। ভয়ে সারা শরীরে যেন অজগর পেঁচিয়ে ধরে। প্রচণ্ড শব্দে দরজা খুলে যায়। সামনে একেবারে অচেনা আশরাফ দাঁড়ানো। চোখ ডুমুরের মতো লাল, সারা মুখ ফুলে আছে, হাতে রংবাজের মতো হুইস্কির বোতল, সে টলছে। শিপন ভাই অপ্রস্তুত হয়ে বলে আমি একটু ঘুরে আসছি।

আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে ভেতরে ঢুকি। আশরাফ আমাকে ঘোলা চোখে দেখে বলে, আপনি কে?

কাণ্ড!

আমি জানি আশরাফের ছোটবেলার বন্ধু মোহাম্মদ সাদিক এখানে থেকেই বিসিএসের পড়াশোনা করছে। বেশ ক’বার দেখা হয়েছে। সে তো সাহিত্যপাড়ায় ঘুরতে পারলে বাঁচে। (পরবর্তীকালে সে একদিকে কবি অন্যদিকে সচিব হয়। আশরাফের এই অবস্থায় সাদিক কোথায়? এ এক অদ্ভুত অবস্থা! সারা ঘরে বোতল ছড়ানো। আশরাফ সারারাত পান করে আমাকে তার প্রেমিকা নাসরীনের গল্প শোনাতে থাকে। যে একটা হ্যান্ডসাম ছেলের সাথে চলে গেছে। তাকে যত বোঝায়, নাসরীন যেতে পারে না, তত ক্ষুব্ধ হয়ে বলে, তুমি জানো না, এর আগে এমন হয়নি, আমার চিঠি পেয়ে, ফোনে খবর পেয়েও সে ওই ছেলের সাথে চলে যাওয়ার জন্য আমার যাওয়ার ব্যাপারে বাসায় কিচ্ছু জানায়নি। এটা আমার একতরফা ভালোবাসা, আমি বুঝতে পারতাম, আরও আরও অনেক কথায় আমি যখন অসহ্য হয়ে উঠেছি, খাবারদাবার নিয়ে সাদিক আসে। আমাকে দেখে সে হতভম্ব, তুই যাস নাই?

কই যাব?

আরে! শালা রাইত থাইকা আমার মাথা খাইয়া ফালাইছে, তুই কার সাথে জানি চইলা গেছস! উফ! বাঁচলাম।

আমি উল্টো ক্ষেপে যাই, তুইও এমন কথা বিশ্বাস করলি?

আশরাফ একটা তিলকে কেমন তাল করে এমন কাণ্ড করছে, সত্যটা যদি শুনিস, সাদিক বলে, তুই ওর সাথে টালবাহানা করিস না? ও আংটি পরাতে গিয়ে কেন কাবিন করল? তুই তো ওকে ভরসাই দিসনি।

এসব কাবিনের আগের কথা। আমি উল্টো চিল্লাই, ভরসা না দিয়ে কোনো বুদ্ধিমান মেয়ে কিন্তু কাবিন করে না।

সন্ধ্যে নাগাদ তাকে বমি করিয়ে মাথায় পানি ঢেলে ধাতস্থ করা হলে, আশরাফের সিনিয়র বন্ধু মাহবুব সাহেব ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নিয়ে বলেন, তোমার অনুষ্ঠান তো এক মাস পরে, এই এক মাস তুমি এখানেই থাকো। কাবিন তো হয়েই গেছে। 

আমি বলি, আমার শ্বশুরবাড়ির মানুষ কী ভাববে? শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার আগেই আমি তাদের ছেলের সাথে সংসার শুরু করেছি?

আশরাফ আমার হাত জোরে চেপে বলে, সে আমি দেখব।

বলি, দু’সপ্তাহ পরে মুমিনুন্নেসায় ইন্টারমিডিয়েট ফার্স্ট ইয়ার পরীক্ষা আমার। 

দিতে হবে না। এক বছর গ্যাপ গেলে কিচ্ছু হবে না। 

তুমি আমাকে বিশ্বাস কর না? 

করি। কিন্তু আমি চাই না, তুমি ওর ছায়ার কাছেও থাকো। ঠিক ভুল যাই বুঝেই হোক, আমি একেবারে শেষ হয়ে যাচ্ছিলাম, ওই ছেলে কোনো না কোনো ছুতো ধরে তোমার পাশে চক্কর খাবে, প্লিজ। 

ঠিক আছে। আর বলতে হবে না। অবশ্য আমাকে অ্যাডভেঞ্চারের মজাও পেয়ে বসেছিল। একেবারেই প্রস্তুতিহীন একটা সংসার করব দুজন। যথাসম্ভব গোপনে। সন্ধ্যার পর বেড়াতে বেরোব। পড়াশোনার টেনশন নেই! আমি দেড় মাসের জন্য থেকে যাই।

কারণ সপ্তাহ পরে ময়মনসিংহ থেকে আয়োজন করে সুনামগঞ্জ থেকে শ্বশুরবাড়ির মানুষ আসবে আমাকে নিয়ে যেতে। কিন্তু আমি অলরেডি এখানে সংসার করছি, এটা লিক হয়ে গেলে যথারীতি তারা মহা আপসেট। আমি এত বছর দাম্পত্যের মধ্যে আশরাফের তেমন রূপ আর দেখিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম র ক ব আম দ র ব আশর ফ র ম স পর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে গুরুত্ব আরোপ

কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। এ পরস্থিতিতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। বুধবার দুজনকে করা এ ফোন কলে তিনি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়া দুই 

ফোনালাপের বিষয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে দেওয়া পৃথক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় মার্কো রুবিও বলেন, তিনি পেহেলগাম হামলায় নিহতদের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। 

তবে তিনি আরও বলেন, ভারত যেন পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করার আগে সতর্ক থাকে, কারণ এখনও পর্যন্ত ভারত এই হামলায় পাকিস্তানের সম্পৃক্ততার কোনও প্রমাণ প্রকাশ করেনি।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক বিবৃতিতে বলেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণহানির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়ায় উত্তেজনা কমাতে এবং শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে ভারতকে পাকিস্তানের সঙ্গে কাজ করার জন্য বলেছেন।

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে ফোনালাপে রুবিও- ২২ এপ্রিল ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পর্যটন কেন্দ্র পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন।

তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, রুবিও এই অযৌক্তিক হামলার তদন্তে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন।

জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, ভারতের উস্কানিমূলক আচরণ শুধু উত্তেজনাই বাড়াচ্ছে এবং পাকিস্তানের সন্ত্রাসবিরোধী প্রচেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছে। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানান, যেন তারা ভারতের ওপর দায়িত্বশীল আচরণ ও ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেলে কাশ্মীরের পেহেলগাম জেলার বৈসরণ তৃণভূমিতে বন্দুকধারীদের হামলায় অন্তত ২৬ জন নিহত হন, যাদের প্রায় সবাই পর্যটক। হামলার দায় স্বীকার করে রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট নামে একটি সংগঠন। এটিকে পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই-তৈয়্যেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে মনে করা হয়।

এ ঘটনায় আরও বেশ কয়েকজনকে আহত হন। যাদের গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, তারা সবাই পুরুষ। বস্তুত, ২২ এপ্রিলের হামলা ছিল ২০১৯ সালের পুলোয়ামা হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী হামলা। বর্তমানে এ ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

পেহেলগামের ভয়াবহ ওই হামলার জেরে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে। দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ সিন্ধু পানিবণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত। জবাবে সিমলা চুক্তি স্থগিত ও ভারতীয় বিমানের জন্য নিজেদের আকাশসীমা বন্ধের ঘোষণা দেয় পাকিস্তান।

তাছাড়া, হামলার পরে দুই দেশই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিবেশী দেশের নাগরিকদের ভিসা বাতিল করে ফিরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। সূত্র-এএফপি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ