ইন্ডাস্ট্রি আমাকে খরচের খাতায় ফেলেছিল: শ্রীলেখা
Published: 8th, February 2025 GMT
অনেকদিন পর আদিত্য বিক্রম সেনগুপ্তের সিনেমা ‘মায়ানগর’ দিয়ে বড় পর্দায় শ্রীলেখা মিত্র। তাঁর এই ছবিটি ২০২১ সালে ভেনিস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হয়। বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে বড়পর্দায় মুক্তি পেলো তার সিনেমা ‘মায়ানগর’। শুক্রবার সিনেমার প্রিমিয়ারে এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন অভিনেত্রী।
শ্রীলেখা বলেন, ‘আমি নতুন করে নিজেকে প্রমাণ দেওয়ার পরীক্ষায় পাস করলাম। ফেল তো করবই না কিন্তু কীভাবে পাস করলাম, সেটা মনে হয় গুরুত্বপূর্ণ। মাঝে অনেকগুলো বছর কেটে গেছে। অনেক দিন থেকে অপেক্ষা করে বসেছিলাম। বারবার মুক্তির কথা হয়েও পিছিয়ে গেছে। তখন খানিকটা হতাশ হয়ে পড়ি কিন্তু যখন ইন্ডাস্ট্রি আমাকে খরচের খাতায় ফেলে দিয়েছিল, সেই সময় এই ছবি এল। এখানে আমি কামব্যাক করলাম বলব না কিন্তু একটা ভালো কাজ উপহার দেওয়ার চেষ্টা করলাম।’
অভিনেত্রীর মতে, ‘বর্তমানে অনেক ভালো ভালো বাংলা সিনেমা হচ্ছে। তবে আমাদের এই সিনেমাটা বর্তমান দিনের রাজনৈতিক আর্থ-সামাজিক অবস্থা নিয়ে, অন্যরকমের গল্প বলবে। এই সিনেমা কলকাতা শহরের কিছু মানুষের গল্প।’
সিনেমার প্রিমিয়ারে প্রচুর দর্শক যে এসেছিলেন তা নয়। বেশ কিছু সিট ফাঁকা দেখে অভিনেত্রী বলেন, ‘সিটগুলো খালি দেখে আমার খুব মন খারাপ লাগছে। সব বড় বড় পরিচালকদের ক্ষেত্রে সব সিটগুলো ভর্তি থাকে তো।’
তারপর অভিনেত্রী তাঁর সহ-অভিনেতাদের দিকে তাকিয়ে প্রশ্ন করেন, ‘ভুল বললাম আমি আবার?’ তখন অবশ্য বাকিরা হালকা হাসেন। তারপরই অভিনেত্রী দর্শকদের অনুরোধ জানান, দর্শকদের ছবির বিষয়ে বলার জন্য।
নায়িকা বলেন, ‘বাংলা ছবির পাশে দাঁড়াতে হবে এমন কোনও মাথার দ্যিবি কারো নেই, ভালো ছবির পাশে দাঁড়ান।’
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের ‘তরী’ সিনেমায় যুক্ত হয়েছেন শ্রীলেখা মিত্রকে। এটি নির্মাণ করছেন রাশিদ পলাশ। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের শেষের দিকে সিনেমাটির শুটিং করতে ঢাকায় আসার কথা রয়েছে তাঁর। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: করল ম
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫