রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দেখা মিলেছে আফিম উৎপাদনের জন্য পরিচিত নিষিদ্ধ পপি গাছের। এ গাছের ফল থেকে বের হওয়া রস শুকিয়ে তৈরি করা হয় আফিম।

পপি গাছ থেকেই আফিম নামক মাদকদ্রব্য তৈরি করা হয়, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফলে দেশে পপি ফুলের চাষ আইনত নিষিদ্ধ।

সম্প্রতি রাবির সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের (প্রথম বিজ্ঞান ভবন) বাগানে দেখা মিলেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ গাছের। রঙিন ফুলে শোভিত এসব গাছ বাগানের অন্যান্য গাছের আড়ালে বেড়ে উঠছিল। বিষয়টি নজরে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ফুল বাগানের ভেতরের বাগানের মধ্যে বৃত্তাকার বেশ কিছু পপি ফুলের গাছ। বাগানের অন্য ফুল গাছের আড়ালে বেড়ে উঠছে এ গাছগুলো। বেশিরভাগ গাছেই ফুটেছে লাল ও সাদা রঙের ফুল। কিছু গাছে ফল ধরতেও দেখা গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা বাগানে এ ফুল দেখার পর মালিকে বলি। প্রথমে নিষিদ্ধ ফুল বললে মালি সেটা অস্বীকার করে। পরে জেরা করলে বলে পুলিশকে বলেন, যা খুশি করেন।”

জানতে চাইলে বাগানের মালি মকবুল বলেন, “আমরা ইচ্ছেকৃতভাবে এগুলো লাগাইনি। আগে বাগানে এগুলো লাগানো ছিল। সেখানের বীজ থেকেই এ ফুলের গাছগুলো হয়েছিল।”

এ বাগানের দায়িত্বে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ। কথা হয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও কলেজ পরিদর্শক ড.

এফ নজরুল ইসলামের সঙ্গে।

তিনি বলেন, “এখানে এই ফুলটি রয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। অনিচ্ছাকৃত ও ভুলবশত এটি হয়ে গেছে। বিষয়টি জানার পরপরই আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ফুলের গাছগুলো তুলে ফেলেছি। আপনাদের ধন্যবাদ আমাদের অবগত করার জন্য।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, “আসলেই এ সম্পর্কে আমার কোন তথ্য নেই। তবে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পপি ফুল চাষ করা হয়ে থাকে, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর যদি এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়ে থাকে, তাহলে আমরা সেগুলো উপড়ে ফেলব। এটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।”

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ