আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাজীপুরের পাঁচটি আসনের মধ্যে চারটির প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মহানগরের সদর থানার আমির অধ্যক্ষ সালাহউদ্দিন আইউবী।

প্রাথমিকভাবে ঘোষিত প্রার্থীরা হলেন গাজীপুর-২ আসনে (গাজীপুর সিটির একাংশ ও টঙ্গী) মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য হোসেন আলী, গাজীপুর-৩ (শ্রীপুর) আসনে গাজীপুর জেলা আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া ও সদর উপজেলা একাংশ) আসনে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও মহানগরীর সদর থানার আমির অধ্যক্ষ সালাহউদ্দিন আইউবী, গাজীপুর-৫ (কালীগঞ্জ ও সদর উপজেলার একাংশ) আসনে মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য খায়রুল হাসান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসের শেষ দিকে গাজীপুর ২, ৩, ৪ ও ৫ আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। অন্যদিকে গাজীপুর-১ (কালিয়াকৈর ও সিটির একাংশ) আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়নি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হবে।

এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর জামায়েতের আমির অধ্যাপক মো.

জামাল উদ্দীন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রতিনিধিদের মতামত নেওয়া হয়েছে। এরপর দলটির স্থানীয় নেতাদের মতামত ও কেন্দ্রীয় সংগঠনের পরামর্শের আসা সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এসব প্রার্থী একেবারে চূড়ান্ত নন। নির্বাচনের আগে যেটা ঘোষণা হয়, সেটিই চূড়ান্ত।’

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন

চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।

লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্‌যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।

চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।

লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।

প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।

লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।

লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।

অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’

তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্‌যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?

সম্পর্কিত নিবন্ধ