ফেনীতে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ অভিযানে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গতকাল সোমবার দুপুর থেকে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত জেলার ছয় উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীরা হলেন দাগনভূঞার জায়লস্কর ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান (৬০), দাগনভূঞা পৌরসভার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু নাসের (৬২), রাজাপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ নেতা খাজা মাঈনুদ্দিন চিশতী (৫৫), সেকান্তরপুরের আলাউদ্দিন (৪৭), সোনাগাজীর বাদুরিয়ার মো.

ইউনুছ (৪৫), মান্দারী গ্রামের মাবুল হক (৬৭), বগাদানার বাহার উল্যাহ (৪৮), ছাগলনাইয়ার পশ্চিম দেবপুরের ওবায়দুল হক (৭০), পরশুরামের বক্সমাহমুদের আবদুল হামিদ (৪৮), ফেনী সদরের কাজীরবাগের অহিদুল্লাহ (৪০), শর্শদির ইসমাঈল হোসেন (৪০), মধ্যম চাড়িপুরের গোলাম রসুল (৩৬) ও পৌরসভার রামপুরের নাইমুল ইসলাম। তাঁরা সবাই আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী।

এর আগে সোমবার দুপুরে দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক মাহফুজুর রহমান (২৪), ফেনী সদর উপজেলার বালিগাঁও ইউনিয়নের বেতাগাঁও গ্রামের ছাত্রলীগের কর্মী মো. ইসমাঈল (৩০), ফেনী সদর উপজেলা মোটবী ইউনিয়নের মধ্যম লক্ষ্মীপুর গ্রামের ছাত্রলীগের কর্মী সাজ্জাদ আহাম্মদ সায়েমকে (২৩) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ১৬ জনকে ৫ আগস্ট–পরবর্তী ফেনী মডেল থানায় করা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার বিকেলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

হাদিকে গুলি: দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে ইউনূসের আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। গত শুক্রবার গুলিবিদ্ধ জুলাই অভ্যুত্থানের মুখ শরিফ ওসমান বিন হাদির ওপর হামলার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠক হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ভোট সামনে রেখে ইউনূস সতর্ক করেন যে, এটি নির্বাচন বানচাল করার পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। তিনি প্রশিক্ষিত শুটার ও ক্ষমতাচ্যুত শক্তির বিরুদ্ধে জুলাইপন্থীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ভুলে এক থাকার আহ্বান জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ