শেরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের ছাত্তারকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন- সদর উপজেলার বাজিতখিলা ইউনিয়নের ছাত্তারকান্দি গ্রামের মৃত আবদুল লতিফের ছেলে কৃষক আকরাম হোসেন (৪২) ও মৃত সমেজ আলীর ছেলে কৃষিশ্রমিক আবদুল হানিফ (৪৫)।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে বিদ্যুতের সংযোগ বন্ধ না করে বোরো ধানের খেতে সেচ দেওয়ার জন্য প্রতিবেশী এক স্বজনের বাড়ি থেকে সেচযন্ত্রে বিদ্যুতের সংযোগ দিতে তার টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন কৃষক আকরাম। হঠাৎ বিদ্যুতায়িত হন তিনি। এ সময় তাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে বিদ্যুতায়িত হন আবদুল হানিফও। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।

শেরপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আশরাফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা/তারিকুল/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ