স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেছেন, ‘‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এবং আয়নাঘরের নৃশংসতা জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে নথিভুক্ত হয়েছে। ফ্যাসিস্টদের সমর্থকরা তাদের অপকর্ম অস্বীকার করতে পারবে না। আমরা গতকাল রহস্যময় আয়নাঘর পরিদর্শন করেছি। সেখানে কী ঘটছিল, তা বিশ্বকে উপলব্ধি করতে দিয়েছি।’’

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্ট্রাল ফিল্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘তারুণ্য উৎসব ২০২৫’-এর সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘‘বিশ্ব বাস্তবতা দেখেছে, তবুও ফ্যাসিবাদের সমর্থকরা নির্লজ্জভাবে তথ্য অস্বীকার করছে। কিন্তু এবার তথ্য অস্বীকার করা ফলপ্রসূ হবে না। কারণ জুলাই মাসের তাদের নৃশংসতা আন্তর্জাতিকভাবে নথিভুক্ত ও প্রকাশিত হয়েছে। ‘আয়নাঘর’ আন্তর্জাতিকভাবে নথিভুক্ত করা হয়েছে এবং এটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রকাশিত হবে।’’

জুলাই মাসের নৃশংসতা ও আয়নাঘরের নথিভুক্তকরণের তাৎপর্য সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘হত্যা ও গুমের মতো অপরাধ করে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত ফ্যাসিবাদী শক্তিগুলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে জনসাধারণের শত্রু হিসেবে স্থায়ীভাবে বিবেচিত হবে।’’

তিনি বলেন, ‘‘তরুণ সমাজের শক্তি দিয়ে বাংলাদেশকে পুনর্গঠনের জন্য, আমরা দেশব্যাপী তারুণ্য উৎসব পালন করে আসছি। তরুণরা উৎসাহের সাথে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসবগুলোতে অংশগ্রহণ করছে।’’ 

তারুণ্য উৎসব সম্পর্কে উপদেষ্টা বলেন, ‘‘এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্য হল, যুবসমাজকে সংগঠিত করা। এ ছাড়া আমরা তরুণ সমাজের ক্ষমতা ও শক্তিকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে চাই।’’ 

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান সভাপতিত্ব করেন এবং যুব ও ক্রীড়া সচিব মো.

রেজাউল মাকসুদ জাহেদী বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন।

ঢাকা/সৌরভ/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপদ ষ ট

এছাড়াও পড়ুন:

আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ

ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।

রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।

অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা। 

বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো। 

বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া। 

আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না। 

বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’

বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা। 

উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী। 

রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।

ঢাকা/টিপু

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কপালে ১৩টি এবং থুতনিতে ৪টি সেলাই করা লাগে
  • দেশের পর এবার বিদেশেও ঈদের সিনেমার মুক্তি
  • বকুলতলায় বৃষ্টির সুর
  • কলকাতায় নতুন সিনেমার শুটিং শুরু করলেন জয়া
  • বর্ষা উৎসবে বন ও পরিবেশ ধ্বংসের প্রতিবাদ, পান্থকুঞ্জ পার্ক রক্ষাসহ কয়েকটি দাবি
  • নাচ-গান-আবৃত্তিতে চারুকলায় বর্ষাবরণ
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরির সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • মেঘ-রোদের লুকোচুরি সকালে নাচে-গানে বর্ষাবরণ 
  • আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
  • কলিজা ঠান্ডা করে দেওয়া ছবি ‘উৎসব’