গত পাঁচ দিন ধরে মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির জন্য অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আজ রাতে তাদের উড়াল দেওয়ার কথা রয়েছে দুবাইয়ের উদ্দেশে। এর মধ্যেই সন্ধ্যায় সংবাদবিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের নাম ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে চোটের কারণে ছিলেন না নিয়মিত অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। তার জায়গায় ওই সিরিজে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হন মিরাজ। এবার নাজমুলের ফেরার পর তিনি হয়ে গেছেন সহ অধিনায়ক। এখন অবধি দেশের হয়ে ১০৩টি ওয়ানডেতে মাঠে নেমেছেন মিরাজ।  

মিরাজের নেতৃত্বের অভিষেক হয়েছিল অবশ্য আগেই। নভেম্বরে শারজায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে শেষ ওয়ানডের আগে চোট পান নাজমুল। এরপর ওই ম্যাচে অধিনায়ক ছিলেন মিরাজ। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিতে ৬৬ রান করেন। তিন ওয়ানডের সিরিজে ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে দুটিতে ৭৪ ও ৭৭ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। অফ স্পিনে অধিনায়কত্বের চার ম্যাচে নেন দুই উইকেট।

একই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি জানিয়েছে, দুবাইয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে অনুশীলন করবেন হাসান মাহমুদ ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ। টুর্নামেন্ট শুরু হলে ২০ ফেব্রুয়ারি দেশে ফিরে আসবেন তারা দুজন।

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিপক্ষে। গ্রুপ পর্বে নাজমুলদের অন্য দুই প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ