চাকরি বিধিমালার (সার্ভিস রুলস) দাবি জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানিয়েছেন তারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকার যানজট নিরসনকল্পে ঢাকায় বসবাসরত জনগণের জন্য বহুল আকাঙ্ক্ষিত একটি পরিবহন হচ্ছে ঢাকা মেট্রোরেল। ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ চালু হয়। মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিদিন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ যাত্রী মেট্রোরেলে ভ্রমণ করছেন। যাত্রীদের নিরাপদ যাত্রা ও সুষ্ঠুভাবে ট্রেন পরিচালনায় কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এক যুগ পেরিয়ে গেলেও, অদ্যাবধি চাকরি বিধিমালা প্রণীত না হওয়ায় উক্ত প্রতিষ্ঠানে সরাসরি উন্মুক্ত নিয়োগের মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত স্থায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ বছরের পর বছর চরম বৈষম্য, স্বেচ্ছাচারিতা, অন্যায় ও জুলুমের স্বীকার হচ্ছেন। সেই সাথে পূর্ণাঙ্গ প্রাতিষ্ঠানিক বিধি বিধান না থাকায় যাত্রীসেবার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করা সম্ভব হচ্ছে না।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মহোদয় স্মারক নং-২৮.

০০.০০০০.০০০.৬০.০০১.২৪.১২২, তারিখ-১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ এর (খ) অনুসারে স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন। উক্ত নির্দেশনা মোতাবেক ডিএমটিসিএল কর্তৃক ৬০তম বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত ৭.৬, ৮.৩ ও ৯.৩ অনুযায়ী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে ডিএমটিসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে প্রেরণ করার নির্দেশনা দেন। কিন্তু প্রায় ৫ মাস অতিবাহিত হলেও কোনো এক রহস্যজনক কারণে আজ অবধি প্রণয়ন করা হয়নি। স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা না থাকায় ডিএমটিসিএলের ২০০ জনেরও বেশি দেশি-বিদেশি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারী চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। ফলে মেট্রোরেল পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ হুমকির মুখে পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ইতোপূর্বে অসংখ্যবার লিখিত ও মৌখিকভাবে একটি বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য চাকরি বিধিমালা (অন্যান্য সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানির সাথে সমন্বয় রেখে) প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসলেও, বহুবার আশ্বাস প্রদান করা সত্ত্বেও দুর্ভাগ্যবশত কোনো এক অজানা কারণে ডিএমটিসিএল চাকরি বিধিমালা এখন পর্যন্ত প্রণয়ন করা হয়নি। এমতাবস্থায়, আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ডিএমটিসিএলের স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি বিধিমালা প্রণয়ন করা না হলে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারির পর থেকে যেকোনো সময় আমরা কঠোর কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবো। এতে করে মেট্রোরেলের সেবা থেকে সম্মানিত যাত্রীসাধারণ বঞ্চিত হলে ডিএমটিসিএলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সম্পূর্ণরূপে দায়ী থাকবে।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর

প্রতিষ্ঠার দুই দশক পর প্রথমবারের মতো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী ২৭ নভেম্বর এই বহুল প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. শেখ গিয়াস উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আরো পড়ুন:

টানা ৩০ ঘণ্টা অনশনে তিন জবি শিক্ষার্থী অসুস্থ

‘নভেম্বরে সম্পূরক বৃত্তির আশ্বাস দিয়েছেন ইউজিসি চেয়ারম্যান’

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামী ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশন গঠন ও কার্যক্রম শুরু হবে। কমিশন পরবর্তী ১১ দিনের মধ্যে তফসিল প্রস্তুত ও ঘোষণা করবে। এছাড়া কমিশন ধাপে ধাপে নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

এর মধ্যে থাকবে— জকসু নির্বাচন নীতিমালা ও আচরণবিধি প্রণয়ন; ছাত্র সংগঠন, সাংবাদিক সংগঠন ও অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে মতবিনিময়; ভোটার তালিকা প্রণয়ন, খসড়া প্রকাশ ও সংশোধন; চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ; মনোনয়নপত্র জমা, যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি; প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ও প্রচারণা কার্যক্রম।

সবশেষে ২৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ, একই দিনে অফিসিয়াল ফলাফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন।

২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হয়নি। দীর্ঘ আন্দোলন, দাবি-দাওয়া ও শিক্ষার্থীদের চাপের মুখে অবশেষে প্রথমবারের মতো জকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলো প্রশাসন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সংবিধি ও বিধি অনুযায়ী রোডম্যাপের প্রতিটি ধাপ বাস্তবায়িত হবে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জকসুর রোডম্যাপ ঘোষণা, নির্বাচন ২৭ নভেম্বর
  • প্রকৌশল পেশাজীবীদের দাবি পূরণে উপাচার্য-অধ্যক্ষদের সঙ্গে আগামীকাল বৈঠক
  • এক সপ্তাহের মধ্যে জকসু নির্বাচনের রূপরেখাসহ ৫ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের