‘চুনারুঘাট-মাধবপুরের উন্নয়নে কাজ করতে চাই’
Published: 13th, February 2025 GMT
‘চুনারুঘাট-মাধবপুর গণমানুষের উন্নয়নে আমার বাবা সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ও আমি ১৫ বছরে হাজারো কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। চুনারুঘাট কাজিরখিল এলাকায় খোয়াই নদীর ওপর ব্রিজ, রাজার বাজার এলাকায় ব্রিজ, চুনারুঘাট পৌরসভাসহ শতাধিক ব্রিজ কালভার্ট করেছি। আমি এমপি-মন্ত্রী না হয়েও সরকারের অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এসব কাজ করেছি। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে আমি আবারও আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। আপনারা সব বিভেদ ভুলে আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করুন।’
গত বুধবার চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের নরপতি সৈয়দ কুতুবুল আউলিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ মো.
চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সালেহ মো. সফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান, চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দীন শামসু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম তালুকদার শ্যামল, অ্যাডভোকেট সরকার মো. শহীদ, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জলিল, মাধবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, চুনারুঘাট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, চুনারুঘাট প্রেস ক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ ফারুক উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মো. ফয়সলের বড় ছেলে সৈয়দ মো. ইসতিয়াক বলেন, বিএনপি করার কারণে বিগত ১৬ বছর আমার পরিবারের ওপর অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। সবকিছু আমরা নীরবে সহ্য করেছি। চুনারুঘাটে আমার সাধ্যমতো উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। তবে আমার বাবার জীবনের শেষ আশা পূরণ হয়নি। আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করুন এবং আমার বাবার পাশে দাঁড়ান, চুনারুঘাটের উন্নয়নের দায়িত্ব আমাদের।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র স আম র ব ব ম ধবপ র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন
রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।
ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।
অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।
ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়