‘চুনারুঘাট-মাধবপুর গণমানুষের উন্নয়নে আমার বাবা সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ও আমি ১৫ বছরে হাজারো কোটি টাকার উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। চুনারুঘাট কাজিরখিল এলাকায় খোয়াই নদীর ওপর ব্রিজ, রাজার বাজার এলাকায় ব্রিজ, চুনারুঘাট পৌরসভাসহ শতাধিক ব্রিজ কালভার্ট করেছি। আমি এমপি-মন্ত্রী না হয়েও সরকারের অনুদানের পাশাপাশি ব্যক্তিগত তহবিল থেকে এসব কাজ করেছি। জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে আমি আবারও আপনাদের মুখে হাসি ফোটাতে চাই। আপনারা সব বিভেদ ভুলে আগামী নির্বাচনে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করুন।’ 
গত বুধবার চুনারুঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের নরপতি সৈয়দ কুতুবুল আউলিয়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠে বিএনপি আয়োজিত জনসভায় এসব কথা বলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি সৈয়দ মো.

ফয়সল। 
চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সালেহ মো. সফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধবপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ লিয়াকত হাসান, চুনারুঘাট পৌরসভার সাবেক মেয়র নাজিম উদ্দীন শামসু, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম তালুকদার শ্যামল, অ্যাডভোকেট সরকার মো. শহীদ, পৌর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল জলিল, মাধবপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, চুনারুঘাট উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোজাম্মেল হক চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী, চুনারুঘাট প্রেস ক্লাব সভাপতি অধ্যক্ষ ফারুক উদ্দিন চৌধুরী প্রমুখ। 
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ মো. ফয়সলের বড় ছেলে সৈয়দ মো. ইসতিয়াক বলেন, বিএনপি করার কারণে বিগত ১৬ বছর আমার পরিবারের ওপর অনেক নির্যাতন করা হয়েছে। সবকিছু আমরা নীরবে সহ্য করেছি। চুনারুঘাটে আমার সাধ্যমতো উন্নয়ন করার চেষ্টা করেছি। তবে আমার বাবার জীবনের শেষ আশা পূরণ হয়নি। আপনারা আমার বাবার জন্য দোয়া করুন এবং আমার বাবার পাশে দাঁড়ান, চুনারুঘাটের উন্নয়নের দায়িত্ব আমাদের। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ র স আম র ব ব ম ধবপ র উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

নিয়োগবিধির প্রজ্ঞাপন : প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতিতে

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগে নতুন বিধিমালা, ২০২৫–এ পরিবর্তন এনেছে সরকার। নতুন সংশোধন অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক নিয়োগের যোগ্যতা ও বয়সসীমায় কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের পরামর্শক্রমে এই সংশোধনী জারি করা হয়েছে গতকাল রোববার (২ নভেম্বর)।

নতুন বিধিমালায় বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ পদোন্নতির মাধ্যমে এবং ২০ শতাংশ সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে হবে। পদোন্নতির জন্য প্রার্থীকে সহকারী শিক্ষক পদে অন্তত ১২ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে এবং মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ সম্পন্ন করতে হবে।

আরও পড়ুনইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত ৪ ঘণ্টা আগে

সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক—উভয় পদেই প্রার্থীদের কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অন্তত দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি থাকতে হবে। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফলাফল গ্রহণযোগ্য হবে না। এ ছাড়া তফসিল–২ অনুযায়ী গৃহীত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষক উভয় পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনকুয়েতে ডেপুটেশনে নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বেতন ৩ লাখ ৪৮ হাজার টাকা০২ নভেম্বর ২০২৫

নতুন বিধিমালার মাধ্যমে ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দটি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবেন। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সংশোধিত বিধিমালার ফলে শিক্ষক নিয়োগের মান আরও উন্নত হবে এবং বিজ্ঞান শিক্ষায় দক্ষ প্রার্থীরা সুযোগ পাবেন। এর মাধ্যমে সরকার প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে দক্ষ ও যোগ্য শিক্ষক নিয়োগে নতুন ধারা আনতে চায়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ