ট্রাম্পের বৈঠকের আগে মোদির সঙ্গে ইলন মাস্কসহ যুক্তরাষ্ট্রের তিন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সাক্ষাৎ
Published: 13th, February 2025 GMT
ওয়াশিংটনে দুই দিনের সফর শুরু করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ওয়াশিংটনে বৃহস্পতিবার পৌঁছানোর কয়েক ঘণ্টা পর ট্রাম্প প্রশাসনের কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইলন মাস্ক, মাইকেল ওয়াল্টজ ও তুলসী গ্যাবার্ড। মোদি এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন, যখন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের পক্ষ থেকে শুল্ক আরোপের বিষয়ে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ট্রাম্প। তাঁর দ্বিতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এটাই প্রথম ওয়াশিংটন সফর।
মোদি বৃহস্পতিবার তাঁর দিন শুরু করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে। এরপর ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের উপদেষ্টা ও বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এ দুজনের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি রিপাবলিকান দলের নেতা বিবেক রামাস্বামীও মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন। এর আগে নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে পৌঁছানোর পর তাঁর সঙ্গে প্রথমে সাক্ষাৎ করেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার নতুন পরিচালক তুলসী গ্যাবার্ড।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল