Risingbd:
2025-08-01@03:12:51 GMT

কবি সোহেল হাসান গালিব কারাগারে

Published: 15th, February 2025 GMT

কবি সোহেল হাসান গালিব কারাগারে

মহানবী হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে কবি সোহেল হাসান গালিবকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সেফাতুল্লাহর আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নাকচ করে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) এ আদেশ দেন।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) আদালতের অপরাধ ও প্রসিকিউশন বিভাগের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সোহেল হাসান গালিবকে আদালতে হাজির করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিবি) কোতয়ালি জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক হুমায়ন কবীর। তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। কবি সোহেল হাসান গালিবের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন।

আদালত রিমান্ড ও জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে সোহেল হাসান গালিবকে কারাগারে পাঠিয়ে আগামী সাত দিনের মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

ডিবির আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি সোহেল হাসান গালিব (Sohel Hasan Galib) নামের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘তৌহিদি জনতা’ শিরোনামে একটি কবিতা পোস্ট করেন। এতে কিছু বিতর্কিত কথা রয়েছে।

পরবর্তী সময়ে আরো জানা যায়, সোহেল হাসান গালিবের লেখা ‘আমার খুতবাগুলি’ নামের একটি বই ‘উজান প্রকাশনী’ নামের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ওই বইয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মতো কবিতা ছাপা হয়েছে। তার লেখা বই শাহবাগ থানাধীন এলাকায় চলমান অমর একুশে বইমেলায় উজান প্রকাশনীর ৬২৩- ৬২৪ নং স্টলে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রিয় নবিজীর নামে প্রথমে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে মানহানিকর পোস্ট ও বইয়ে এরূপ কবিতা থাকায় বাংলাদেশের বিপুল পরিমাণ মুসলিমের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। এতে বইমেলাসহ দেশে যেকোনো স্থানে দাঙ্গা হওয়ার উপক্রম হয়েছে। আসামির ফেসবুক অ্যাকাউন্টের বিষয়ে বিপুল সংখ্যক লোক রিপোর্ট করায় তা ডিঅ্যাকটিভ হয়। সোহেল হাসান গালিবের অপরাধের বিষয়টি জনসাধারণের মধ্যে ভাইরাল হওয়ায় তার সার্বিক নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। এমতাবস্থায় আসামির কর্মকাণ্ড ধর্তব্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে তাকে ১৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানাধীন সানারপাড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আসামিকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে কোন উদ্দেশ্যে কার প্ররোচনায় এরূপ অপরাধকর্ম সম্পাদন করেছে, তা জানা সম্ভব হবে বলে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় তাকে ১০ দিনের পুলিশি রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

ঢাকা/মামুন/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অপর ধ

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ