ফতুল্লার পূর্ব লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রথম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের প্রথম  প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, কেক কাটা, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।

শনিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে জে.

আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক অর্ণব আহম্মেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মোঃ সেলিম হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আসিফ উল হোসাইন রাব্বী ও আব্দুল্লাহ আল মামুন (সুজন)। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র বিগত ১ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে। সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।

মোঃ মনির হোসেন আরো বলেন, জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ। এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।

অনুষ্ঠানে জে.আর মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন কচির সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন, আবুল কালাম, মোঃ মফিজ, কবির হোসেন, কিবরিয়া, আলম, নজরুল, সাংবাদিক মিজানুর রহমান মিজান, সুজন ও মোঃ রায়হান চৌধুরী প্রমুখ।

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ