চাঁদপুরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধে খালাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ
Published: 16th, February 2025 GMT
চাঁদপুরে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জেরে খালাতো ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। আজ রোববার বেলা ১১টায় চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহ মাহমুদপুর ইউনিয়নের কুমারডুগি পাটোয়ারী বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
ছুরিকাঘাতে নিহত ব্যক্তির নাম ইউসুফ পাটোয়ারী (৪০)। এ ঘটনায় তাঁর আপন বড় ভাই ইব্রাহিম পাটোয়ারী (৫০) গুরুতর আহত হয়েছেন। পরে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হত্যার ঘটনায় ইউসুফের খালাতো ভাই মো.
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমারডুগি পাটোয়ারী বাড়িতে নানার রেখে যাওয়া সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দুই খালাতো ভাইয়ের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা ও বিরোধ চলছিল। এরই জেরে আজ সকালে শহরের হকার্স মার্কেটের মোবাইল ব্যবসায়ী ইউসুফ পাটোয়ারী ও তাঁর বড় ভাই ইব্রাহিম পাটোয়ারীর সঙ্গে তাঁদের খালাতো ভাই ভ্যানচালক মো. মাইনুদ্দিনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মাইনুদ্দিনের ঘরে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে তাঁদের এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই ইউসুফ পাটোয়ারী নিহত হন এবং ইব্রাহিম পাটোয়ারী গুরুতর আহত হন। এ সময় তাঁদের ডাক ও চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে মাইনুদ্দিনকে ঘরের ভেতর আটকে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত মাইনুদ্দিনসহ তিনজনকে আটক করে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া বলেন, ‘আমরা এ ঘটনাটি তদন্ত করছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্তসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ইন দ দ ন এ ঘটন ইউস ফ
এছাড়াও পড়ুন:
চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়িতে হামলা, গ্রেপ্তার ২
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন ভূঁইয়ার গাড়িতে হামলার ঘটনায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বান্দরবান সদর উপজেলার সিকদারপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কাজী মো. ইমন হোসেন (২৩) ও মো. সুজন (২৪)। তারা নগরের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় তরুণের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ
বগুড়ার জুলাই শহীদ কমর উদ্দিনের বাড়িতে হামলা
আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধ পণ্যের চালান আটক করায় কাস্টমস কর্মকর্তাকে হত্যার চেষ্টা
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান, গ্রেপ্তার দুইজন এবং পলাতক একজনসহ মোট তিনজন হামলার ঘটনায় জড়িত। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার জন্য তাদের ভাড়া করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ‘এক ব্যক্তি’ টাকার বিনিময়ে ওই তিনজনকে ভাড়া করে ঘটনাটি ঘটান। কী কারণে এবং কত টাকায় ওই ব্যক্তিদের ভাড়া করা হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
আরো পড়ুন: ‘গুলি কর’ বলে চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা
পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গত ৪ ডিসেম্বর সকালে প্রাইভেট কারে চড়ে অফিসে যাচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান খান ও বদরুল আরেফিন ভূঁইয়া। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় পৌঁছান। তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে হঠাৎ সামনে থেকে তাঁদের গতি রোধ করে। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িতে হামলা ও কাচ ভাঙচুর শুরু করে তারা। তাদের একজনের হাতে চাপাতি ছিল। এ সময় তারা ‘গুলি কর, গুলি কর’ বলে চিৎকার করতে থাকে। হামলা ও গুলি করার হুমকির মুখে ওই দুই কর্মকর্তা কোনোমতে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে পাশের একটি গলিতে আশ্রয় নেন।
হামলার পর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ডবলমুরিং থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পরই মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল ঘটনার সূত্র উদঘাটন এবং হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বান্দরবানের সিকদারপাড়া এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হামলার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ