চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্মকর্তাদের গাড়িতে হামলা, গ্রেপ্তার ২
Published: 12th, December 2025 GMT
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) বদরুল আরেফিন ভূঁইয়ার গাড়িতে হামলার ঘটনায় দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা (পশ্চিম) বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বান্দরবান সদর উপজেলার সিকদারপাড়া এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কাজী মো.
আরো পড়ুন:
গাইবান্ধায় তরুণের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে প্রতিপক্ষ
বগুড়ার জুলাই শহীদ কমর উদ্দিনের বাড়িতে হামলা
আরো পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধ পণ্যের চালান আটক করায় কাস্টমস কর্মকর্তাকে হত্যার চেষ্টা
চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ পশ্চিম জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ মাহবুব আলম খান জানান, গ্রেপ্তার দুইজন এবং পলাতক একজনসহ মোট তিনজন হামলার ঘটনায় জড়িত। কাস্টমস কর্মকর্তাদের ওপর হামলার জন্য তাদের ভাড়া করা হয়েছিল।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভয়ভীতি দেখানোর জন্য ‘এক ব্যক্তি’ টাকার বিনিময়ে ওই তিনজনকে ভাড়া করে ঘটনাটি ঘটান। কী কারণে এবং কত টাকায় ওই ব্যক্তিদের ভাড়া করা হয়েছিল, সে বিষয়ে জানতে পুলিশ তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
আরো পড়ুন: ‘গুলি কর’ বলে চট্টগ্রামে কাস্টমস কর্মকর্তার গাড়িতে হামলা
পুলিশ ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের ভাষ্য, গত ৪ ডিসেম্বর সকালে প্রাইভেট কারে চড়ে অফিসে যাচ্ছিলেন আসাদুজ্জামান খান ও বদরুল আরেফিন ভূঁইয়া। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তারা নগরের ডবলমুরিং থানার আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় পৌঁছান। তিন ব্যক্তি মোটরসাইকেলে এসে হঠাৎ সামনে থেকে তাঁদের গতি রোধ করে। মুহূর্তের মধ্যে গাড়িতে হামলা ও কাচ ভাঙচুর শুরু করে তারা। তাদের একজনের হাতে চাপাতি ছিল। এ সময় তারা ‘গুলি কর, গুলি কর’ বলে চিৎকার করতে থাকে। হামলা ও গুলি করার হুমকির মুখে ওই দুই কর্মকর্তা কোনোমতে গাড়ি থেকে নেমে দৌঁড়ে পাশের একটি গলিতে আশ্রয় নেন।
হামলার পর কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান খান ডবলমুরিং থানায় অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলা হওয়ার পরই মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের একটি দল ঘটনার সূত্র উদঘাটন এবং হামলাকারীদের শনাক্তে কাজ শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বৃহস্পতিবার ভোরের দিকে বান্দরবানের সিকদারপাড়া এলাকা থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হামলার দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পরিকল্পনা করে এই হামলা চালানো হয়েছে।
ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মল অভ য গ ক স টমস কর মকর ত দ র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে এনসিপি নেতাসহ ৩ জনকে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ
রাজশাহীতে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দুই নেতাসহ তিনজনকে মাইক্রোবাস চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নগরের মতিহার থানার চৌদ্দপাই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় আহত তিনজন হলেন- এনসিপির রাজশাহী জেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদুল ইসলাম সাজু, সদস্য আব্দুল বারী ও সাংবাদিক সোহানুর রহমান সোহান। সাংবাদিক সোহান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার মিডিয়া সেলের সদস্য। তারা তিনজন একই মোটরসাইকেলে চড়ে যাচ্ছিলেন।
ঘটনার পর তিনজনকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। এদের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম সাজু ও সোহান প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে চলে গেছেন। আব্দুল বারীর একটি পা ভেঙেছে। তিনি ভর্তি রয়েছেন। সাজু দুই পা ও হাতের কবজিতে আঘাত পেয়েছেন। সোহানের হাতে জখম হয়েছে। সন্ধ্যায় তারা দুজন নগরের মতিহার থানায় ছিলেন।
সাজু জানান, রাজশাহী জেলা এনসিপিতে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বিকেলে তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করেন। সেটি শেষ করে কাটাখালী যাচ্ছিলেন। যাওয়ার সময় উল্টোপথে আসা একটি মাইক্রোবাস তাদের চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি জানান, রাজশাহী-নাটোর মহাসড়কের ওই স্থানটি ফোর লেন। উল্টোপথে গাড়ি আসার কারণ নেই। তারপরও ওই মাইক্রোবাসটি উল্টোপথে এসে তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। মাইক্রোবাসের পেছনে চারটি মোটরসাইকেল ছিল। ধাক্কা দেওয়ার পর সবাই পালিয়েছে।
সাজু বলেন, ‘‘এটি অবশ্যই পরিকল্পিতভাবে হত্যার চেষ্টা। এ ঘটনায় অভিযোগ দিতে আমরা থানায় এসেছি।’’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে নগরের মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি।
রাজশাহী নগর পুলিশের মুখপাত্র গাজিউর রহমান বলেন, ‘‘বিষয়টা আমি এখনও জানি না। ওসির সঙ্গে কথা বলে জানার পরে বলতে পারব। এমন ঘটনা ঘটলে পুলিশ অবশ্যই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে।’’
ঢাকা/কেয়া/এস