প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্রদলের সহায়তায় বাকৃবিতে ছাত্রলীগের পুনর্বাসনের অভিযোগ
Published: 16th, February 2025 GMT
জুলাই বিপ্লবের ছয় মাস না যেতেই বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) বেশিরভাগ আবাসিক হলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসনের অভিযোগ উঠেছে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রত্যক্ষ মদদ আছে বলে জানা গেছে।
একইসঙ্গে ক্যাম্পাসে নিজেদের দল ভারি করতে ছাত্রদলের নেতারা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হলে উঠানোর সুপারিশ করার অভিযোগও পাওয়া গেছে। তবে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের দাবি হলের প্রাধ্যক্ষকে জানিয়েই তারা হলে থাকছেন।
এদিকে, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হলে হলে পুনর্বাসনের প্রতিবাদে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতনের পর হল থেকে পালিয়ে যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে যারা হলে ছিলেন, শিক্ষার্থীরা তাদের বের করে দেন। কিন্তু সম্প্রতি আবার হলগুলোতে ঠাঁই পেয়েছেন তারা। তাদের অংশ নিতে দেখা গেছে হলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও। এসব ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ছাত্রদলের সুপারিশে ও প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে সখ্যতা থাকায় হলে ঠাঁই পেয়েছেন। আবার অনেক ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে দেখা যাচ্ছে ছাত্রদলের বিভিন্ন প্রোগ্রামে।
বিভিন্ন হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালীন ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রলীগ) কর্তৃত্ব সর্বত্র বিরাজমান ছিল। ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে হলগুলোতে রাজনীতির নামে ক্ষমতার অপব্যবহার করে সিট বাণিজ্য, চাঁদাবাজি, গেস্টরুমে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার, বিনামূল্যে ক্যান্টিন ও ডাইনিংয়ের খাবার খাওয়া ছিল সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রাত্যহিক অভিযোগ।
তারা অভিযোগে আরো বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পরে ৬ মাস পার হতে না হতেই হলগুলোতে আবারো পুনর্বাসন করা হচ্ছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল, ফজলুল হক হল, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল, আশরাফুল হক হল, শাহজালাল হল এবং শহীদ জামাল হোসেন হলে ছাত্রলীগের পুনর্বাসন করা হয়েছে। রুবেল-সবুজ কাজী এবং রিয়াদ-মেহেদী কমিটির অনেক পদধারী ছাত্রলীগ নেতারা অনায়াসেই হলে থাকছেন। এসব নেতারা একসময় গেস্টরুমসহ বিভিন্ন নির্যাতনের জড়িত ছিল।
এতকিছুর পরও হলগুলোতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ঠাঁই পাওয়ার জন্য হলের শিক্ষার্থীরা প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্রদল নেতাকর্মীদের দায়ি করেন।
বঙ্গবন্ধু হলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজু বলেন, “ছাত্রলীগের দুই নেতা সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু হলে উঠেছে। যার মধ্যে একজন শহীদ নাজমুল আহসান হলের ছাত্রলীগ নেতা। গত ৫ আগস্টের পর তাকে হল থেকে বের করে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আমরা হলের শিক্ষার্থীরা এ ঘটনা জানার পরে তাদের সঙ্গে কথা বলি। তারা জানান, হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলে তারা হলে উঠেছেন। দেশের এ পরিস্থিতিতে হল প্রাধ্যক্ষ কিভাবে নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হলে থাকার অনুমতি দেন, সেটাই বোধগম্য হচ্ছে না।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ফজলুল হক হলের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, “রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিভিন্ন হলে হলে পুনর্বাসন করছেন। গণঅভ্যুত্থানের পরে যেসব ছাত্রলীগ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন হল থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল, তাদের মধ্যে অনেকেই এখন বিভিন্ন হলে অবস্থান করছেন। ছাত্রদলের নেতারা ছাত্রলীগ নেতাদের হলে তুলে নিজেদের দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন, যাতে হলগুলো ছাত্রদল নেতারা নিজেদের দখলে নিতে পারেন।”
এ বিষয়ে বাকৃবি ছাত্রদলের যুগ্ম-আহবায়ক এএম শোয়াইব বলেন, “আমি যতদূর জেনেছি বিভিন্ন হলে ছাত্রলীগের রুবেল-কাজী কমিটির পদপ্রাপ্ত অনেকে হলে আছেন। আমি প্রশাসনের কাছে আহ্বান জানাই, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিচার করে বহিষ্কার করা হোক। যারা ছাত্রলীগ করে হলের বাইরে চলে গেছেন, তারা নিশ্চয়ই নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। যারা এ নির্যাতনের সঙ্গে যুক্ত তাদের কোন প্রশ্রয় আমি দেব না। ছাত্রলীগ একটি নিষিদ্ধ সংগঠন, তাদের সঙ্গে এ মুহূর্তে ছাত্রদল সম্পৃক্ত হতে পারে না।”
বাকৃবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো.
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির বলেন, “হলে কোন শিক্ষার্থী থাকবেন বা থাকবেন না, সেটি নির্ধারণ করার দায়িত্ব হল প্রশাসনের। ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের এখানে সম্পৃক্ত থাকার সুযোগ আছে বলে আমি মনে করি না। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের পুনরায় হলে ওঠার ক্ষেত্রে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সহায়তা বিষয়ক কোনো তথ্য এখনো আমাদের কাছে আসেনি। এ রকম কোন তথ্য প্রমাণ পেলে অবশ্যই সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযোগের বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড শরীফ-আর-রাফি বলেন, “হলের প্রাধ্যক্ষ হিসেবে আমার প্রধান দায়িত্ব হলো- কোন শিক্ষার্থী যাতে বাইরে থেকে কষ্ট না করে। এ কারণে আমি ছাত্রদের কাছে তালিকা চেয়েছিলাম। আগে ছাত্রলীগ কর্মী ছিল- এমন কারো বিরুদ্ধে যদি র্যাগিং বা অন্যায় কর্মকাণ্ডের অভিযোগ থাকে এবং শিক্ষার্থীরা যদি তাদের হলে থাকতে দিতে না চায়, সেই নামগুলো জানাতে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ ধরনের কোনো তালিকা আমি হাতে পাইনি।”
তিনি বলেন, “যাদের হলে তোলার পর শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে যে, তারা আগে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ছিল, তার কোন প্রমাণও তারা দিতে পারেনি। এমনকি এ বিষয়ে কেউ আমার সঙ্গে কোনো আলোচনাও করেনি। হলের শিক্ষার্থীরা যদি কারও অবস্থান নিয়ে আপত্তি জানায়, তবে তাকে হলে রাখার কোন যৌক্তিকতা নেই। তবে এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা হল প্রশাসনের কাছে কোন লিখিত অভিযোগ জমা দেয়নি। তাদের সব আলোচনা শুধু ফেসবুককেন্দ্রিক।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.মো রুহুল আমিন বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর দলীয় পরিচয় ব্যতিত বৈধ শিক্ষার্থী হলে তারা হলে সিট পাওয়ার অধিকার রাখে। সেভাবে হলে উঠলে দোষের কিছু নেই। আমি যতদূর জানি, তারা সংগঠনের পরিচয়ে হলে উঠেনি।”
তিনি বলেন, “ছাত্রলীগ নেতাদের যে হলে উঠানো হয়েছে, প্রাধ্যক্ষ কাউন্সিলের আহ্বায়ক হিসেবে আমাকে জানানো হয়নি।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক বলেন, “ছাত্রলীগের কমিটিতে যারা ছিল, আমরা তাদের চিহ্নিত করে বের করে দিয়েছি। এ রকম আরো যদি জানতে পারি, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/লিখন/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হল র শ ক ষ র থ ছ ত রদল র ন ত ন ষ দ ধ স গঠন ব ভ ন ন হল হলগ ল ত হল প র ন র পর ব র কর দ র হল
এছাড়াও পড়ুন:
শব্দগুলো সাজাও, বাক্য বানাও
ইংরেজি: রি–অ্যারেঞ্জ
প্রাথমিক বিদ্যালয়–শিক্ষার্থী মেধা যাচাই পরীক্ষায় ইংরেজি ৮ নম্বর প্রশ্নটি রি–অ্যারেঞ্জের ওপর। নম্বর থাকবে ৬।
# Rearrange words in the correct order to make meaningful sentences
Set-1
a. poetry/ time/ in/ my/ free/ father/ his/ writes.
b. I/ can/ questions/ ask/ some/ you?
c. us/ let/ for/ a/ go/ picnic.
d. should/ eat/ you/ chocolate/ not/ of/ lot/ a.
e. beautiful/ girl/ the/ how/ is!
Ans:
a. My father writes poetry in his free time.
b. Can I ask you some questions?
c. Let us go for a picnic.
d. You should not eat a lot of chocolate.
e. How beautiful the girl is!
আরও পড়ুনসবুজ উদ্ভিদ থেকে খাদ্যশৃঙ্খল শুরু১০ ডিসেম্বর ২০২৫Set-2
a. hare/ for/ slept/ hour/ an/ the.
b. walk/ you/ can’t/ faster?
c. believe/ his/ hare/ the/ couldn’t/ eyes.
d. too/ for/ play/ don’t long.
e. steady/ race/ the/ wins/ slow/ but!
Ans:
a. The hare slept for an hour.
b. Can’t you walk faster?
c. The hare couldn’t believe his eyes.
d. Don’t play for too long.
e. Slow but steady wins the race!
Set-3
a. myself/ I/ introduce/ May?
b. club/ person/ the/ a/ there/ new/ is/ in/ today.
c. down/ please/ sit.
d. hour/ I/ you/ can/ in/ meet/ an.
e. Andy/ can/ when/ meet/ Tamal?
Ans:
a. May I introduce myself?
b. There is a new person in the club today.
c. Please sit down.
d. I can meet you in an hour.
e. When can Tamal meet Andy?
ইকবাল খান, প্রভাষক
বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ, ঢাকা