ইসলামী ব্যাংকের আরডিএসের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান
Published: 16th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি এর বগুড়া, রাজশাহী ও রংপুর জোনের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্পের (আরডিএস) সদস্যদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) বগুড়ার হোটেল মম-ইনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রকল্পের সদস্য-সন্তানদের মধ্যে বিভিন্ন প্রকৌশল, বিশেষায়িত ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিক্যাল কলেজের ১৯১ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।
ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড.
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের রুরাল ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের প্রধান এ.এফ.এম. আনিছুর রহমান ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বগুড়া জোনপ্রধান শহীদুল্লাহ মজুমদার। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন রাজশাহী জোনপ্রধান মোহাম্মদ নুরুল করিম ও রংপুর জোনপ্রধান এ.কে.এম শাফিয়ার রহমান। বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও পূর্বে বৃত্তিপ্রাপ্ত পেশাজীবীদের পক্ষে অনুভূতি প্রকাশ করেন বুয়েটের শিক্ষার্থী রনি আহমেদ ও মোছাঃ দিলরুবা আলিয়া, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের রাতুল হাসান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোঃ আশ্রাফুল ইসলাম, দিলীপ কুমার দাস ও মোসাঃ আসমা বেগম, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের মোসাঃ নুরে জান্নাত টুম্পা ও মোঃ আবুল খায়ের, সোহরাওয়ার্দি মেডিক্যাল কলেজের লাভলি আক্তার বানু, ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোঃ মাহবুবুর রহমান ও নেসকো বগুড়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রেদোয়ান হোসেন। অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, সদস্য অভিভাবক এবং ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় ও ৩টি জোনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান বলেন, ইসলামী ব্যাংক পিএলসি দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবিস্মরণীয় অবদান রেখেছে । ব্যাংকের উন্নয়নের বাধা অপসারিত হয়েছে এবং আগামী দিনে ব্যাংক আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করবে। ব্যাংকের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচি আরো প্রসারিত হবে। তিনি জাতীয় উন্নয়নে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করার জন্য উদীয়মান শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান জানান।
সভাপতির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংক জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে দেশের গণমানুষের ব্যাংক। আমানত-বিনিয়োগ, বৈদেশিক রেমিট্যান্স আহরণ, আমদানি-রপ্তানিসহ সকল ব্যবসায়িক সূচকে দেশের শীর্ষ অবস্থানের পাশাপাশি শিল্পায়ন, উদ্যোক্তা উন্নয়ন, কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবিরাম সহযোগীর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প বিশ্বের বৃহত্তম ইসলামিক মাইক্রোফাইন্যান্স কর্মসূচি। পল্লী উন্নয়ন, দারিদ্র বিমোচন, সামাজিক বিকাশ ও নারীর ক্ষমতায়নে এ প্রকল্প অগ্রণী ভূমিকা রেখে চলেছে।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংকের পল্লী উন্নয়ন প্রকল্প বর্তমানে ব্যাংকের ৫১৭টি অপারেটিং ইউনিটের অধীনে দেশের ৬৪ জেলার ৩৪ হাজারের বেশি গ্রামে ১৮ লাখ সদস্যের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। ব্যাংক ২০১২ সাল থেকে সহায়ক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় শিক্ষা সহায়তা, প্রশিক্ষণ, স্বাস্থ্যখাত, ত্রাণ ও পুনর্বাসন এবং পরিবেশ সুরক্ষা কার্যক্রমে ২৩৭ কোটি টাকা ব্যয় করেছে যার সরাসরি সুবিধাভোগী ১ কোটি ৯ লক্ষ মানুষ। এ সময়ে শুধু শিক্ষা খাতে ব্যয় করা হয়েছে ৯১ কোটি টাকা যার সুবিধাভোগী ৪ লাখ ৮০ হাজার জন। প্রকল্পের শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গ্র্যাজুয়েশন ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বৃত্তি প্রদান, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষাসামগ্রী উপহার প্রদান করা হয়। এছাড়া এ কর্মসূচির আওতায় শিশুদের জন্য সারা দেশে ৬৮০টি প্রাক-প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মক্তব পরিচালনা করা হচ্ছে।
এএ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ম ড ক য ল কল জ র অন ষ ঠ ন প রকল প সদস য রহম ন ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ, ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন
আগামী বছরে হজে যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশি হজযাত্রীদের চলতি বছরের ১২ অক্টোবরের মধ্যে নিবন্ধন শেষ করতে হবে। একই সঙ্গে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মে হজযাত্রীদের তথ্য আপলোড এবং গ্রুপ গঠন শুরু করতে হবে।
এই সময়সীমা বেধে দিয়ে গত ৮ জুন ২০২৬ সালের হজের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে সৌদি সরকার।
রোডম্যাপের নির্দেশনা অনুযায়ী সৌদি সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের ৯ নভেম্বর হজচুক্তি সম্পন্ন হবে। আগামী ১০ জুলাই হজের কোটা ঘোষণা করবে সৌদি সরকার। তাছাড়া বাড়ি ভাড়া, পরিবহনসহ অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষ করার পর হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে ২০২৬ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি। ভিসা দেওয়ার কার্যক্রম চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত এবং হজ ফ্লাইট শুরু হবে ১৮ এপ্রিল।
আরো পড়ুন:
ইউরোপীয় গুপ্তচর যেভাবে মক্কায় ঢুকেছিলেন
প্রথম ফিরতি ফ্লাইটে দেশে ফিরলেন ৩৬৯ হাজি
এদিকে, হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) ও হজ কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সৌদি সরকারের হজের রোডম্যাপ অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রোববার (১৫ জুন) ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, মেডিকেল ফিটনেস ছাড়া কোনো হজযাত্রী হজে যেতে পারবেন না। বিশেষ করে হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার সিরোসিস, কিডনি রোগে আক্রান্ত, নিউরোলজিক্যাল, মানসিক রোগ, ঝুঁকিপূর্ণ গর্ভাবস্থা, সংক্রামক যক্ষ্মা এবং কেমোথেরাপি/রেডিওথেরাপি গ্রহণকারী ক্যানসার আক্রান্ত রোগী হজের নিবন্ধন করতে পারবেন না।
সৌদি সরকারের রোডম্যাপ অনুযায়ী, নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ক্যাম্পের তথ্য অবলোকন এবং অর্থ স্থানান্তরের সুবিধা চালু হবে ২৬ জুলাই। ৯ থেকে ২৩ আগস্ট পর্যন্ত চলতি হজের ক্যাম্পগুলো আগামী হজ মৌসুমে গ্রহণের সুযোগ থাকবে। নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে (ক্যাম্পের ভাড়া ও মাশায়ের প্যাকেজ) চুক্তি করা যাবে।
২৪ আগস্টের মধ্যে নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সেবা প্যাকেজ, আবাসন এবং পরিবহনের চুক্তি শুরু এবং হজযাত্রী পরিবহনের এয়ারলাইন্স নিয়োগ ও ফ্লাইট সময়সূচি প্রস্তুত করতে হবে। ৯ নভেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও সৌদি সরকারের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক হজচুক্তি স্বাক্ষর হবে।
‘হজ সম্মেলন ও প্রদর্শনীতে’ সেবা প্রদানকারী কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সেবা চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। ২১ ডিসেম্বরের মধ্যে সেবা প্যাকেজের (তাঁবু ভাড়া মাশায়ের প্যাকেজ) প্রয়োজনীয় অর্থ পাঠাতে হবে।
আগামী বছরের ৪ জানুয়ারি নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে সেবা গ্রহণের (তাঁবু ভাড়া+মাশায়ের প্যাকেজ) চূড়ান্ত চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। একইসঙ্গে এয়ারলাইন্স ও ফ্লাইট সিডিউল চূড়ান্ত করতে হবে। আগামী বছর ২০ জানুয়ারি মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের বাড়ি/হোটেল এবং পরিবহন চুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ স্থানান্তর শুরু হবে।
নুসুক মাসার প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ১ ফেব্রুয়ারির মধ্যে মক্কা ও মদিনায় হজযাত্রীদের জন্য বাড়ি/হোটেল ভাড়া এবং পরিবহনের চুক্তি চূড়ান্ত করতে হবে। ৮ ফেব্রুয়ারি হজযাত্রীদের ভিসা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং চলবে ২০ মার্চ পর্যন্ত।
রোডম্যাপ অনুযায়ী আগামী বছরের ১৮ এপ্রিল হজের উদ্দেশ্যে হজযাত্রীদের সৌদি আরবে যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হবে। ২০২৬ সালের হজে হজযাত্রীদের জন্য সর্বোচ্চ দুইটি সার্ভিস কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করা যাবে। নুসুক মাসার প্লাটফর্মে আগামী ১০ জুলাই হজ কোটা ঘোষণা করা হবে।
আগামী বছরের হজে সব ধরনের চুক্তি এবং সেবা সংক্রান্ত পেমেন্ট নুসুক মাসার প্লাটফর্মে সম্পন্ন করতে হবে। এর বাইরে কোনো পেমেন্ট কঠোরভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। সব হজযাত্রীর কোরবানির অর্থ নুসুক মাসার প্লাটফর্মে আবশ্যিকভাবে জমা দিতে হবে। হজযাত্রীদের খাবারের জন্য সৌদি ক্যাটারিং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদন করতে হবে। এছাড়া হজযাত্রী ব্যবস্থাপনার কাজে হজে গমনকারীদের তাঁবু, সার্ভিস প্যাকেজ এবং পরিবহন সেবামূল্য দেওয়া বাধ্যতামূলক।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মেহেদী