ভালোবাসার আনন্দঘন সব মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে বিশেষ প্রচারণা ঘোষণা করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড। ভালোবাসা দিবসের ধারাবাহিকতা উদযাপনে প্রিয়জনের সঙ্গে সেরা সব মুহূর্ত ভাগ করে নিতে চলছে সারপ্রাইজ লাভ উইথ ইনফিনিক্স প্রচারণা, যা শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি।
ভালোবাসা, হাসি ও চমক
ভালোবাসার আবেশ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে চলতি বছর অনলাইন আর অফলাইনে প্রচারণা চলছে। যার মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া কনটেস্ট, যেখানে আগ্রহীদের বিশেষ কোনো স্মরণীয়, আবেগঘন বা মজার ছবি বা ভিডিও শেয়ার করতে হবে।
শুধু সঙ্গীর সঙ্গে হতে হবে– এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। হতে পারে বাবা-মা, ভাইবোন, পরিবারের সদস্য বা বন্ধুদের সঙ্গে কাটানো কোনো বিশেষ মুহূর্ত। শেয়ার করার সময় #SurpriseLovewithInfinix হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে। তিনজন বন্ধুকে একসঙ্গে ট্যাগ করে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানাতে হবে।
বিক্রয়োত্তর সেবা
ইভেন্টের অংশ হিসেবে ব্র্যান্ডটি সার্ভিস সেন্টার কার্লকেয়ার বিশেষ বুথ স্থাপন করেছে, যেখানে প্রিমিয়াম বিক্রয়োত্তর পরিষেবা দেওয়া হবে। ইভেন্টে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ওয়ারেন্টির বাইরে থাকা ডিভাইস সার্ভিসে বিশেষ ছাড়, বিনামূল্যে সার্ভিস চার্জ, সফটওয়্যার আপডেট ছাড়াও ফোন ক্লিনিং সার্ভিস পাবেন, যা ডিভাইসে সুরক্ষা দেবে।
সহজে স্মার্টফোন কেনা
শিক্ষার্থীদের জন্য ব্র্যান্ডের উদ্যোগে স্মার্টফোন কেনা আরও সহজ করতে পাম পে ইভেন্টে কার্ডলেস সমান মাসিক কিস্তি (ইএমআই সুবিধা দেবে। ফলে শিক্ষার্থীরা সহজে স্মার্টফোন কেনার সুযোগ নিতে পারবেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ
বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।
এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।
জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদবৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’
‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’