দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হয়েছিল ব্রাজিলের। প্রথম ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ৬ গোল হজম করে আসর শুরু করেছিল সেলেসাওরা। সেই পরাজয়ের পর অনেকেই তাদের শিরোপা জয়ের দৌড়ের বাইরে রেখেছিল। অপরদিকে, আর্জেন্টিনা তখন শিরোপা জয়ের প্রধান দাবিদার হয়ে ওঠে। তবে নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে, শেষমেশ সাম্বার দেশের যুবাদের মুখেই শেষ হাসি। দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে ব্রাজিল।

রোববার (১৬ ফেব্রিয়ারি, ২০২৫) দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের চূড়ান্ত পর্বে চিলিকে ৩-০ গোলে হারায় ব্রাজিল। আর্জেন্টিনাকে শিরোপা জিততে হলে করতে হতো ৪ গোল। আলবিসেলেস্তারা জয় তো পায়নি, উল্টো ৩-২ গোলে হেরে গিয়েছে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে। চূড়ান্ত পর্বে প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলেরই পয়েন্ট ছিল সমান ১০ করে। ফলে শেষ ম্যাচ দিয়েই শিরোপা নির্ধারণের অপেক্ষায় ছিল দুই দল।

আরো পড়ুন:

ব্রাজিলে আবারো বিমান বিধ্বস্ত, নিহত ২

চ্যাম্পিয়ন হতে অপেক্ষা বাড়ল ব্রাজিলের, আর্জেন্টিনারও

ভেনেজুয়েলার জোসে অ্যান্তনিও স্টেডিয়ামে চিলির মুখোমুখি হয় ব্রাজিল। ম্যাচের ৭২ মিনিট পর্যন্ত কোনো গোল না হলেও পরের ১৭ মিনিটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় দলটি। ৭৩ থেকে ৮৮ মিনিটের মধ্যে ডেভিড ওয়াশিংটন, পেদ্রো এবং রিকার্ডো ম্যাথিয়াস গোল করলে ম্যাচ জিতে নেয় ৩-০ ব্যবধানে।

এই জয়ের ফলে আর্জেন্টিনার চেয়ে তিন পয়েন্টে এগিয়ে যায় ব্রাজিল। একই সাথে ‍(‍+৪) গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকে তারা। শিরোপা জয়ের জন্য প্যারাগুয়ের বিপক্ষে তাই ৪ গোলের ব্যবধান রেখে হয়ের বিকল্প ছিল না আর্জেন্টিনার সামনে। একই মাঠে একটু পরে এমন সমীকরণ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে প্রথমার্ধে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে আর্জেন্টিনা। শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানে ম্যাচই হেরে যায় আলবিসেলেস্তারা।

সুতরাং ৩ পয়েন্টে এগিয়ে থেকেই শিরোপা নিশ্চিত করে ব্রাজিল। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে ১৩তমবার দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টটির ট্রফি জিতল সেলেসাওরা। ৮টি শিরোপা জিতে দ্বিতীয় স্থানে আছে উরুগুয়ে। অন্যদিকে আর্জেন্টিনার শিরোপা ৫টি।

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ টবল ক প আম র ক আর জ ন ট ন আর জ ন ট ন র ব যবধ ন

এছাড়াও পড়ুন:

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার আহ্বান জাতিসংঘ মহাসচিবের

সাংবাদিকদের কাজের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিশ্বের সব দেশের সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের আন্তর্জাতিক দিবস উপলক্ষে তিনি এ আহ্বান জানান। বিশ্বব্যাপী ২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়।

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত মহাসচিবের বিবৃতিতে বলা হয়, সত্যের সন্ধানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা ক্রমবর্ধমান বিপদের মুখে পড়ছেন। এর মধ্যে রয়েছে মৌখিক নিপীড়ন, আইনি হুমকি, শারীরিক আক্রমণ, কারাবাস ও নির্যাতন। এমনকি অনেককে জীবনও দিতে হচ্ছে।

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের বিচারহীনতা বন্ধের এই আন্তর্জাতিক দিবসে আমরা ন্যায়বিচারের দাবি জানাচ্ছি। বিশ্বজুড়ে সাংবাদিক হত্যার প্রায় ১০টি ঘটনার মধ্যে ৯টির বিচারই এখনো অমীমাংসিত রয়ে গেছে।’

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমানে যেকোনো সংঘাতের মধ্যে (ফিলিস্তিনের) গাজা সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে ভয়াবহ জায়গায় পরিণত হয়েছে। আমি আবারও এই ঘটনাগুলোর স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যেকোনো জায়গায় বিচারহীনতা শুধু ভুক্তভোগী এবং তাঁদের পরিবারের প্রতিই অন্যায় নয়, বরং এটি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ, আরও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দেওয়ার শামিল এবং গণতন্ত্রের প্রতি হুমকি।’ তিনি বলেন, সব সরকারের উচিত প্রতিটি ঘটনার তদন্ত করা, প্রত্যেক অপরাধীর বিচার করা এবং সাংবাদিকেরা যাতে সর্বত্র স্বাধীনভাবে তাঁদের কাজ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করা।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরও বলেন, ‘নারী সাংবাদিকদের লক্ষ্য করে অনলাইনে উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে থাকা হয়রানিমূলক আচরণ অবশ্যই আমাদের মোকাবিলা করতে হবে। এ ধরনের অপরাধের বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাজা হয় না এবং এটি প্রায়শই বাস্তব জীবনে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। যাঁরা সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের জন্য ডিজিটাল দুনিয়াকে নিরাপদ রাখতে হবে।’

আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘যখন সাংবাদিকদের কণ্ঠ রুদ্ধ হয়, তখন আমরা সবাই আমাদের কণ্ঠস্বর হারাই। আসুন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষায়, জবাবদিহি নিশ্চিত করার দাবিতে এবং যাঁরা ক্ষমতার বিপরীতে সত্য তুলে ধরেন, তাঁরা যেন ভয় ছাড়াই তা করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা সম্মিলিত অবস্থান নিই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ