চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আলো ছড়াবেন যেসব ব্যাটসম্যান
Published: 17th, February 2025 GMT
আরও একটি আইসিসি টুর্নামেন্ট দরজায় কড়া নাড়ছে। যেখানে বিশ্বের সেরা আটটি দল অংশ নিবে। তাদের তারকারা নিজেদের সেরাটা দিয়ে বিশ্বমঞ্চে জানান দিবেন শ্রেষ্ঠত্বের। নজর থাকবে এমন বেশ কিছু তারকার দিকে। চলুন দেখে নেওয়া যাক এবারের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে কোন কোন তারকা আলো ছড়াবেন।
ফখর জামান (পাকিস্তান):
সাঈদ আনোয়ারের পর পাকিস্তানের সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সেরা উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হিসেবে বিবেচনা করা হয় ফখর জামানকে। মূলত প্রয়োজনের মুহূর্তে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেওয়ার তার সামর্থের কারণেই এমন তকমা পাচ্ছেন তিনি। বিস্ফোরক স্ট্রোক প্লেয়ার তিনি।
২০১৮ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিনি ওয়ানডেতে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বোচ্চ ২১০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতের বিপক্ষেও তিনি ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরিটি করেছিলেন। গেল জুনে ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। কিন্তু পুরোপুরি সেরে উঠে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলেছেন। এবার আরও একটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আলো ছড়ানোর পালা তার।
আরো পড়ুন:
আগামী বিপিএল নিয়ে কাজ শুরু, ‘সুখবর’ দিলেন ফারুক
প্রস্তুতি ম্যাচেই বিশ্বাসের ঘাটতি
ড্যারিল মিচেল (নিউ জিল্যান্ড):
নিউ জিল্যান্ডের সামনে ২৫ বছর পর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আরও একটি শিরোপা জয়ের সুযোগ। আর সেই যাত্রায় তাদের কাণ্ডারি হতে পারেন ড্যারিল মিচেল। এই ব্যাটিং অলরাউন্ডার এশিয়ার কন্ডিশনে খুব ভালো করেন। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে ৬৯ গড়ে করেছিলেন ৫৫২ রান। পাকিস্তানের মাটিতে ৫১.
হেনরিখ ক্লাসেন (দক্ষিণ আফ্রিকা):
তার বিধ্বংসী ব্যাটিং প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মিডল অর্ডারে তিনি একজন প্রভাব বিস্তারকারী ব্যাটসম্যান। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে কমপক্ষে ৫০০ বল খেলে সেরা গড় তোলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে তৃতীয় স্থানে আছেন ক্লাসেন। বড়সর শারীরিক গঠন ও বাহুর প্রবল শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অনায়েসে বল মাঠের বাইরে পাঠাতে পারেন তিনি। স্পিনারদের বিপক্ষে খেলতে পারেন দারুণ সব পুল শট। তাতে করে প্রতিপক্ষরা রান নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। আরও একবার আইসিসির মঞ্চে এবার ক্লাসেন শো দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেটপ্রেমীরা।
শ্রেয়াস আয়ার (ভারত):
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসরে যাদের দিকে নজর থাকবে তার মধ্যে ভারতের শ্রেয়াস আয়ার অন্যতম। সম্প্রতি তার দারুণ পারফরম্যান্সে ভর করে ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছে ভারত। মিডল অর্ডারে তিনি দারুণ কার্যকর ব্যাটিং করেন। সম্প্রতি ১২৩.১ স্ট্রাইক রেটে মিডল অর্ডারে দলীয় সংগ্রহে যোগ করেছেন ১৮১ রান। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা সুবিধা করতে না পারলে মিডল অর্ডারে তার মতো একজন আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হাল ধরতে পারবেন এবং দলের প্রয়োজন মেটাতে পারবেন।
বেন ডাকেট (ইংল্যান্ড):
টপ অর্ডারে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে বেন ডাকেট বেশ কার্যকর। ফিল সল্টের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে বাম-ডানের দারুণ কম্বিনেশন করেন তিনি। পাকিস্তান ও আরব আমিরাতে তার মতো ব্যাটসম্যান বেশ কার্যকর হবেন। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ইংল্যান্ডের হয়ে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারবেন বলেই বিশ্বাস ক্রিকেটবোদ্ধাদের। তার দারুণ সূচনার ওপর ভর করে হ্যারি ব্রুক, জো রুট ও জস বাটলাররা ইনিংস এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।
সদ্য শেষ হওয়া ভারতের বিপক্ষের তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে ১২২.৪২ স্ট্রাইক রেটে ১৩১ রান করেছিলেন তিনি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে এবার তার ব্যাটের কারিশমা দেখার পালা।
ঢাকা/আমিনুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব য টসম য ন ক র যকর
এছাড়াও পড়ুন:
কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন
টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।
এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।
গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।
প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।