ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেছেন, আজ মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের ডাকা হরতাল প্রতিরোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। খারাপ কোনো কিছু ঘটবে না, নগরবাসীর আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

সোমবার তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনারের সংস্কার করা কার্যালয়ের উদ্বোধন ও মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে, মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ হরতালের ডাক দিয়েছে। পুরো রাজধানীতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। পুলিশের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। অতীতেও তারা (আওয়ামী লীগ) ফেসবুকে এমন প্রোগ্রাম দিয়েছে, তা সফলভাবে মোকাবিলা করেছি।’

এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি দলের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ই-মেইল থেকে ড.

মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগসহ ১০টি দাবি নিয়ে ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার হরতালসহ মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। কোনো কর্মসূচিতে মাঠে নামতে দেখা যায়নি ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পতিত আওয়ামী লীগের কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মীকে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের থেকে উন্নতি হয়েছে দাবি করে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ‘ছিনতাই বা অন্যান্য অপরাধ কমে গেছে। এখন বড় সমস্যা নানা গোষ্ঠী বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নেমে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে। এতে যাত্রী, বিশেষ করে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সসহ মানুষের কষ্ট হয়। দাবি-দাওয়া আদায়ের স্থান রাস্তা হতে পারে না। দাবি-দাওয়া সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গিয়ে টেবিলে বসে সমাধান করেন।

 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ হরত ল আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে

১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।

এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।

স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ