‘পাকিস্তান-ভারত একপেশে ম্যাচ হবে’
Published: 18th, February 2025 GMT
পাকিস্তান-ভারত ম্যাচ নিয়ে অযথাই বাড়াবাড়ি হচ্ছে বলে মনে করছেন হরভজন সিং। সাবেক এ ভারতীয় স্পিনারের মতে, ২৩ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে একপেশে ম্যাচ হবে। যেখানে পুরোপুরি দাপট থাকবে ভারতের। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে উপমহাদেশের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এ দু’দল একই গ্রুপে খেলছে।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এ লড়াইয়ে ভারতের আধিপত্যের পুরোপুরি নিশ্চয়তা দিয়েছেন হরভজন। তাঁর এই আত্মবিশ্বাসের কারণ, দু’দলের শক্তির ব্যবধান ও পাকিস্তানের সাম্প্রতিক অধারাবাহিক পারফরম্যান্স। তাঁর মতে, ম্যাচে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই হবে না, ‘ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে অযথাই হাইপ তোলা হচ্ছে। কারণ, এখানে আসলে কিছু হওয়ার নয়। ভারত বেশ শক্তিশালী একটি দল। আর পাকিস্তান সম্প্রতি ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরেছে। পাকিস্তান ভীষণ অধারাবাহিক একটি দল। আপনি যদি পরিসংখ্যানের দিকে তাকান এবং ভারতের ব্যাটার ও বোলারের সঙ্গে তাদের তুলনা করেন, তাহলে একটি পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যায়।’
ক্রিকেটে অতীতে ভালো খেলার রেকর্ড ভবিষ্যতে জেতার নিশ্চয়তা দেয় না। তার পরও ভারতকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হরভজন, ‘আসলে দুই দলের পার্থক্যটা বিশাল। ভারত অনেক শক্তিশালী একটি দল। আর বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান ছাড়া পাকিস্তান তো একটি দুর্বল দল। তাদের বলার মতো আর কোনো ব্যাটার নেই। তাদের বোলিং ইউনিটও ফর্মে নেই। কিউইদের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে তাদের বোলিং।’
তবে ফখর জামানকে ভারতের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করেছেন হরভজন, ‘পাকিস্তানের প্রধান ব্যাটার হলেন বাবর আজম। ভারতের বিপক্ষে তাঁর গড় ৩১। ভারতের বিপক্ষে রিজওয়ানের গড় ২৫। একজন ভালো ব্যাটারের গড় ৫০-এর আশপাশে থাকা উচিত। একমাত্র ফখর জামানের গড় ৪৬। সেই কেবল ভারতের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিতে পারে। সে ছাড়া বলার মতো আর কেউ নেই। ফাহিম আশরাফের গড় ১২.
আর রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল রানে ফিরেছেন বলে ভারত আরও অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে উঠেছে বলেও মনে করছেন হরভজন। আর বড় টুর্নামেন্টে বিরাট কোহলি, লোকেশ রাহুলরা সব সময় রান করেন বলেও আত্মবিশ্বাসী তিনি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ইউরোপে পাইলটদের বেতন কোন দেশে কত
ইউরোপে সবচেয়ে বেশি বেতনের পেশার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে পাইলট। ফ্রান্সে এটি পঞ্চম সর্বোচ্চ মাসিক বেতনের পেশা। জার্মানিতে জটিল ভূমিকার পাইলটেরা মাসে ২৮ হাজার ৯৬ ইউরো উপার্জন করেন। যুক্তরাজ্যে পূর্ণকালীন পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলাররা মধ্যম আয়ে পঞ্চম স্থানে। ডেনমার্কে ২০২৩ সালে মাসিক বেতন ১৩ হাজার ৫২৩ ইউরো, দেশটির হিসাবে সপ্তম সর্বোচ্চ বেতন।
অভিজ্ঞতা অনুযায়ী বেতনের বৈচিত্র্য
পাইলটদের বেতন দেশ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন হয়। যুক্তরাজ্যে বেতন শুরু হয় বছরে ৫৪ হাজার ২৮৩ ইউরো (৪৭,০০০ পাউন্ড) থেকে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য এটি প্রায় ১ লাখ ৭৩ হাজার ২৪৩ ইউরো (১ ইউরো সমান ১৪১ টাকা ৭৭ পয়সা, ২২ অক্টোবর ২০২৫ হিসাবে) পর্যন্ত হতে পারে, জানিয়েছে ব্রিটিশ ন্যাশনাল ক্যারিয়ার্স সার্ভিস।
ইআরআই অর্থনৈতিক গবেষণা ইনস্টিটিউট জানায়, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতার পাইলটরা এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞ পাইলটের চেয়ে ৬০ থেকে ৮০ শতাংশ বেশি আয় করেন। অর্থাৎ অভিজ্ঞ পাইলটরা প্রায় তিন গুণ বেশি উপার্জন করেন।
আরও পড়ুনফ্রিল্যান্সিংয়ে নামার আগে এ পাঁচটি বিষয় ভাবুন১৯ অক্টোবর ২০২৫দেশভিত্তিক তথ্যযুক্তরাজ্য
২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত এএনএসের তথ্যানুসারে, পূর্ণকালীন ‘এয়ারক্রাফট পাইলট ও এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলার’-এর বার্ষিক আয় প্রায় ৯৫ হাজার ২৪০ ইউরো (৮০,৪১৪)। ইআরআইয়ের মতে, গড় বার্ষিক বেতন ৯০ হাজার ২৫৩ ইউরো (৭৮,১৪৬ পাউন্ড), লন্ডনের জন্য ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৬২ ইউরো (১০০,০৬০ পাউন্ড)।
জার্মানি
জার্মানির ফেডারেল স্ট্যাটিস্টিক্যাল অফিসের তথ্যমতে, গড় মাসিক বেতন ১২ হাজার ৫৬৬ ইউরো (বার্ষিক ১,৫০,৭৯২ ইউরো)। মধ্যম আয় ১০ হাজার ২০৭ ইউরো (বার্ষিক ১,২২,৪৮৪ ইউরো), অভিজ্ঞ ও বিশেষায়িত পাইলটদের ক্ষেত্রে তা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৭২ ইউরো পর্যন্ত হতে পারে। ইআরআইয়ের তথ্য অনুসারে, এক থেকে তিন বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটের গড় বেতন ৭৩,৭৮৫ ইউরো, আট বছরের বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন পাইলটদের জন্য ১ লাখ ৩২ হাজার ১১৭ ইউরো।
ফ্রান্স
INSEE জানায়, ‘সিভিল এভিয়েশন টেকনিক্যাল ও কমার্শিয়াল ফ্লাইট অফিসার’দের গড় মাসিক বেতন ৯ হাজার ৩০০ ইউরো (বার্ষিক ১,১১,৬০০ ইউরো)। ERI অনুসারে, অভিজ্ঞ পাইলটদের জন্য গড় বেতন ১ লাখ ৯ হাজার ২৯২ ইউরো।
ছবি: এমিরেটসের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া