আইনি প্রক্রিয়া মেনে শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা হয়েছে: গণশিক্ষা উপদেষ্টা
Published: 18th, February 2025 GMT
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে হাইকোর্ট ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করলেও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার জানিয়েছেন, আইনি প্রক্রিয়া মেনে সরকারি শিক্ষক নিয়োগের ফল ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা আন্দোলনরত সহকারী শিক্ষকদের প্রতি সহানুভূতিশীল।
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কার্য-অধিবেশন শেষে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
গণশিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, আন্দোলনরত শিক্ষকদের বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। যেহেতু এটি এখন আদালতে বিচারাধীন বিষয় তাই প্রশাসনিকভাবে আলাদা কোনো উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ নেই।
উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, যখন ফল ঘোষণা করা হয়েছে, আমাদের মন্ত্রণালয় স্বাধীনভাবে ফল ঘোষণা করেনি। আমরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়েই ফল ঘোষণা করেছি। ফলে আমরা মনে করছি, আইনি কাঠামোতেই আমাদের কাজগুলো করেছি। সে হিসেবে তারা যেটা চাচ্ছেন তাদের সঙ্গে আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। কারণ আমরা মনে করছি আমরা আইনসম্মতভাবেই করেছি।
নতুন পাঠ্যবই নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রাথমিকের ৮৫ শতাংশ বই স্কুলে পৌঁছে গেছে। এ মাসের মধ্যে স্কুলে স্কুলে সব বই পৌঁছে যাবে।
উপদেষ্টা বলেন, অনেক কিন্ডারগার্টেন রয়েছে, নীতিমালা অনুযায়ী সেগুলো নিবন্ধিত হওয়া দরকার, অনেকগুলো নিবন্ধিত নয়। সেগুলো নিবন্ধনের ওপর আমরা জোর দিয়েছি।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ছয় হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। এরপর থেকে আন্দোলন করছেন ফল বাতিল হওয়া শিক্ষক প্রার্থীরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র-জনতার ওপর গুলি: এআই দিয়ে শনাক্ত করে কৃষক লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ
ঢাকার গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণের ঘটনায় কৃষক লীগের ভাটারা থানা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান ওরফে রাজুকে শনাক্ত করে পুলিশ। এরপর তাঁকে গত রোববার রাজধানীর মতিঝিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গুলশান থানা–পুলিশ জানায়, চলতি বছরের ১৯ জুলাই গুলশান ও বাড্ডা এলাকায় আন্দোলনরত ছাত্র ও জনতার ওপর গুলি চালান মিজানুর রহমান। এ সময় জব্বার আলী নামের এক ভ্যানচালকের ডান পায়ে গুলি লাগে। পুলিশ সদর দপ্তরের একটি দল ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ছবি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (এআই) সাহায্যে বিশ্লেষণ করে মিজানুর রহমানকে শনাক্ত করে। পরে তাঁকে আইনের আওতায় আনার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর সালাম আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলোকে বলেন, মিজানুর রহমান কারাগারে আছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে। ১৭ জুন রিমান্ড আবেদনের শুনানি হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাকির হোসেনের (বাবুল) ক্যাডার বাহিনীর অন্যতম সংগঠক ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে তিনি এলাকায় চাঁদাবাজি, জমি দখলসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সরকারবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলশান-বাড্ডা এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো এবং ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় তাঁর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে গুলশান, ভাটারা ও বাড্ডা থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।