স্ত্রী-সন্তানসহ মোস্তফা কামালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
Published: 18th, February 2025 GMT
আওয়ামী সরকারের সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, স্ত্রী কাশমিরী কামাল, মেয়ে কাশফি কামাল ও নাফিসা কামালের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা মোহা.
আবেদনে বলা হয়েছে, আসামি লোটাস কামাল, তার স্ত্রী ও কন্যাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সম্পর্কিত মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। আসামিরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
এর আগে, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ১৬৭ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামাল, তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে ২৭ কোটি ৫২ লাখ টাকা, তার স্ত্রী কাশ্মীরি কামালের বিরুদ্ধে ৪৬ কোটি ১১ লাখ টাকা, মেয়ে কাশফি কামালের বিরুদ্ধে ৩১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং নাফিসা কামালের বিরুদ্ধে ৬২ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করা হয়েছে।
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মুসলমান বলেই রোহিঙ্গারা ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার
রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা বর্তমান সময়ে অন্যতম করুণ মানবিক সংকট বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, শুধু মুসলমান হওয়ার কারণেই রোহিঙ্গারা এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার।
গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় তুরস্কের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদলের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এ কথা বলেন প্রধান উপদেষ্টা। পাঁচ সদস্যের ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিয়েছেন তুরস্ক-বাংলাদেশ সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপের সভাপতি ও তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্য মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ।
সাক্ষাতে দুই পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রগুলোতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা আরও জোরদার করার উপায় নিয়ে আলোচনা করে। এ সময় মেহমেত আকিফ ইয়িলমাজ বলেন, তুরস্ক ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দৃঢ় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের ওপর আলোকপাত করেন তিনি।
ইয়িলমাজ বলেন, তাঁদের প্রতিনিধিদল রোববার কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেছে এবং তুর্কি বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা, বিশেষ করে তুর্কি ফিল্ড হাসপাতালের মানবিক কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত হয়েছে। এ সময় রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি তুরস্কের অবিচল সমর্থনের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রধান উপদেষ্টা। তুর্কি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের দুরবস্থা আমাদের সময়ের অন্যতম করুণ মানবিক সংকট। তারা শুধু মুসলমান বলেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার এবং তাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আট বছর ধরে আশ্রয়শিবিরে থাকায় রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষা ও ভবিষ্যৎ সুযোগ একেবারেই সীমিত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা হতাশা ও অস্থিতিশীলতার জন্ম দিতে পারে।’