প্রেম-বিয়ে নিয়ে সমাজের চোখরাঙানি আমার যায়-আসে না: শ্রাবন্তী
Published: 19th, February 2025 GMT
টালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে ২৭ বছর কাটিয়ে দিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। এই সময়ে বহুবার প্রেম ও তিন-চারটা বিয়ে ও বিচ্ছেদ নিয়ে আলোচনায় এসেছেন তিনি। তবে এসব বিষয় হাসিমুখে সামাল দিয়ে নিজের গতিতে এখনো ছুটে চলেছেন শ্রাবন্তী।
সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে শ্রাবন্তী বলেন, ‘নানা ঝামেলার মধ্যে নিজেকে শক্ত করে রাখতে হয়েছে। আমি মনে করি জীবন একটাই আর আমার জীবন, আমিই বাঁচব। আমার বিল কেউ ভরে দেবে না, বাড়ি-গাড়ির মাসিক কিস্তি কেউ ব্যাঙ্কে গিয়ে দিয়ে আসবে না। আমার ছেলেকেও কেউ মানুষ করবে না। আমিই করব এগুলো। তার পাশাপাশি আমাকেও ভাল থাকতে হবে। ঈশ্বরের কাছে আমি কৃতজ্ঞ, মা-বাবাকেও ধন্যবাদ যে আমি এ রকম একটা জীবন পেয়েছি। মা-বাবা যত দিন রয়েছেন তাঁদের সান্নিধ্যে রয়েছি। দর্শকের জন্য আরও ভাল কাজ করতে চাই, এটুকুই। বাকি কে কী বলল, আমার কিছু এসে-যায় না।’
অল্প বয়সে মা হয়েছেন শ্রাবন্তী। মা হওয়ার পর অভিনয়ও চালিয়ে গেছেন। ছেলে এখন বড় হয়েছে। বলা চলে, বন্ধু হয়েই তাঁর সঙ্গে বেড়ে উঠছে ছেলে অভিমন্যু।
শ্রাবন্তীর কথায়, “আমি তো ভাগ্যবান যে অল্প বয়সে মা হয়েছি। আমার ছেলের সঙ্গেই আমি বড় হয়েছি। ১৬ বছর বয়সে মা হয়েছি। তখন দশম থেকে একাদশ শ্রেণি। আজ আমার ছেলে আর আমি বন্ধু, ভাইবোনের মত। এখন ও আমার অভিভাবক। আমি ওকে ‘রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার’ নাম দিয়েছি। এত শাসন করে আমাকে! আমাকে বলে, ‘তোমার মধ্যে কোনও দিন পরিণতিবোধ আসবে না! শিশুই থেকে যাবে! আমি বলি, আমার এ রকমই ভাল লাগে।”
আপাতত বিয়ের সিদ্ধান্ত নেই বলেন জানান শ্রাবন্তী। তিনি জানান, বর্তমানে বিয়ের কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। ভবিষ্যতে করবেন কিনা সেটাও ঠিক নেই। আপাতত জীবন উপভোগ করছেন তিনি।
প্রেমের প্রসঙ্গে শ্রাবন্তী বলেন, ‘সব সময়য় প্রেমে তো থাকি। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে ভবিষ্যৎ ভাবতে শুরু করে দেয় সকলে। সব কিছুতে আমার একটু সময় লাগে। প্রত্যেকের বাঁচার অধিকার রয়েছে। সে কিসে ভালো থাকবে, সেটা তো তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। তা না, তিন-চারটে বিয়ে, সমাজের কত চোখরাঙানি! আমার কিছু যায়-আসে না’। সূত্র: আনন্দবাজার।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: শ র বন ত
এছাড়াও পড়ুন:
ডিএইচএস মোটরস দেশে আনল চীনের ‘জিএসি’ ব্র্যান্ডের গাড়ি
ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড তার পোর্টফোলিওতে যুক্ত করেছে আরেকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড চীনের ‘জিএসি’। জিএসি চীনের পঞ্চম বৃহত্তম অটোমোবাইল নির্মাতা। নিজস্ব গাড়ির পাশাপাশি জিএসি চীনে হোন্ডা এবং টয়োটা গাড়ির যৌথ উদ্যোগ অংশীদার।
বৃহস্পতিবার (১ মে) রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ঢাকা মোটর শোতে এ খ্যাতনামা ব্র্যান্ড উদ্বোধন করা হয়।
বাংলাদেশে জিএসির যে মডেলগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে, সেগুলো হলো— কমপ্যাক্ট এসইউভি জিএসি EMKOO, ছোট ও স্পোর্টি এসইউভি জিএসি EMZOOM এবং বিলাসবহুল এমপিভি জিএসি E9।
বাংলাদেশের বাজারে জিএসি উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের অটোমোবাইল শিল্পকে আরো শক্তিশালী করল ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ভবিষ্যতে ডিএইচএস মোটরস লিমিটেড জিএসির ইভি মডেল যুক্ত করে তাদের মডেল লাইনআপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এছাড়া, ডিএইচএস খুব শিগগিরই দেশে জিএসি গাড়ির অ্যাসেম্বলি শুরু করার পরিকল্পনা করছে।
অনুষ্ঠানে ডিএইচএস মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান জামান খান, জেনারেল ম্যানেজার আরমান রশীদ ও ফারহান সামাদ, জিএসির কান্ট্রি ম্যানেজার ড্যানিয়েল ঝাউ, রেমন ওয়াং প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/হাসান/রফিক