হেলিকপ্টারে এসে পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে ব্যতিক্রমী বিদায়
Published: 19th, February 2025 GMT
কর্মজীবন শেষে ব্যতিক্রমী বিদায় সংবর্ধনা পেলেন লক্ষ্মীপুরের রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতাকর্মী পুষ্প রাণী দাস। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে তাকে বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। এ সময় কর্মস্থল থেকে গাড়িতে করে তাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।
পুষ্প রাণী দাসকে বিদায় জানাতে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে প্রতিষ্ঠানে আসেন হামদর্দ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা ড.
শেষে গাড়িতে করে পুষ্প রাণী দাসকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা এবং অধ্যক্ষের পক্ষ থেকে এমন আয়োজন দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন পুষ্প রাণী দাস।
আরো পড়ুন:
কমপ্লিট শাটডাউনে শেবামেক, ক্যাম্পাসে নীরবতা
গাইবান্ধায় ডাল খেয়ে ২ শতাধিক মানুষ অসুস্থ
রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ অধ্যাপক কামরুন নাহার পলিন বলেন, কলেজ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে পুষ্প রাণী দাস নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে সবসময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রেখেছেন। বিদায়ের কষ্ট কিছুটা কমানোর জন্য ব্যতিক্রমী এমন আয়োজন করা হয়েছে।
বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, হামদর্দ ফাউন্ডেশনের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মাহবুবে আনোয়ার, পরিচালক আমিনুল মোমেনিন মানিক, হামদর্দের কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ।
পুষ্প রাণী দাস ২০১০ সালে রওশন জাহান ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মজীবন শুরু করেন। তার বাড়ি সদর উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামে।
ঢাকা/লিটন/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাভারে পোশাক শ্রমিককে পুড়িয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেপ্তার
সাভারের আশুলিয়ায় রোকসানা (২০) নামে এক পোশাক শ্রমিককে গলাকেটে ও আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী মো. সোহাগকে (২৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। বুধবার (৩০ এপ্রিল) রংপুরের মিঠাপুকুর থানাধীন ইমাদপুর তালপট্টি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাভারের নবীনগর র্যাব-৪ সিপিসি-২-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর জালিস মাহমুদ খান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। র্যাব-৪, সিপিসি-২ সাভার ও র্যাব-১৩, সিপিসি-৩ গাইবান্ধা এর যৌথ দল সোহাগকে গ্রেপ্তার করে।
আরো পড়ু: পোশাক শ্রমিককে হত্যার পর লাশে আগুন দিয়ে পালিয়েছে স্বামী
আরো পড়ুন:
শামীম ওসমানের ছেলে অয়নের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নোয়াখালীতে গুলি করে হত্যা: থানায় মামলা, অস্ত্র উদ্ধার
নিহত রোকসানা শেরপুরের মো. আব্দুর রশিদের মেয়ে। তিনি আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকার কালাম মাদবরের মালিকানাধীন ৫ তলা ভবনের নিচ তলার একটি ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। তিনি স্থানীয় ন্যাচারাল ইনডিগো লিমিটেড নামের একটি পোশাক কারখানায় অপারেটর হিসেবে কাজ করতেন।
র্যাব জানায়, বিয়ের পর থেকেই আসামি রোকসানাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন। গত ২০ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে পাশের বাসার ভাড়াটিয়া নিহতের বড় বোন রওশনারা বেগমকে মোবাইলে ফোন করে রোকসানার মৃত্যুর খবর জানান।
পরিবারের সদস্যরা টঙ্গাবাড়ির ওই বাড়িতে গিয়ে নিহতের শরীরে বিভিন্ন দাগ, গলা কাটা ও আগুনে পোড়া দেখতে পান। এ ঘটনায় নিহতের বোন রওশনারা বেগম বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্তে নেমে রংপুর থেকে আসামি মো. সোহাগকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
মেজর জালিস মাহমুদ খান বলেন, “গ্রেপ্তারকৃতকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।”
ঢাকা/সাব্বির/মাসুদ