‘সংঘাত ও শঙ্কামুক্ত জীবন আমাদের সবার কাম্য’ এই প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে উদযাপিত হয়েছে ‘আন্তর্জাতিক হাঁটা দিবস’।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে ‘লেটস ওয়াক’ নামের সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়, যা সুগন্ধা পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় সংগঠনটির সদস্যদের পাশাপাশি পর্যটক, শিক্ষার্থী ও ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।

দিবসটির স্বপ্নদ্রষ্টা ও আন্তর্জাতিক সীমানা অতিক্রমকারী প্রথম এশিয়ান নারী জান্নাতুল মাওয়া রুমা বলেন, “নিয়মিত হাঁটার ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, মন প্রফুল্ল থাকে এবং দীর্ঘায়ু লাভ করা সম্ভব হয়। হাঁটা ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, লিভার ও কিডনির মতো জটিল রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। এ কারণে হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।”

তিনি আরও বলেন, “মানুষের মধ্যে হাঁটার উপকারিতা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং সুস্থ জীবনযাপনের তাগিদ থেকেই এই দিবস পালিত হয়। এটি সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হলে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ও সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ প্রয়োজন।”

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের পরিদর্শক তপন তালুকদার বলেন, “হাঁটা মানুষের শারীরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানসিক প্রশান্তিও নিশ্চিত করে। এ কারণে নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত।”

তিনি আরও বলেন, “কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে দিবসটি উদযাপিত হওয়ায় স্থানীয় মানুষ ও পর্যটকদের মধ্যে হাঁটা সম্পর্কে ইতিবাচক সচেতনতা তৈরি হবে।”

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি জান্নাতুল মাওয়া রুমার উদ্যোগে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো দিবসটি পালিত হয়। পরে ২০২০ সালে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ১৯ ফেব্রুয়ারিকে ‘হাঁটা দিবস’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। সেই থেকে প্রতি বছর দিনটি বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে।

ঢাকা/তারেকুর/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সবার নজরের বাইরে থাকা চৈতী দেশের জন্য আনল স্বর্ণপদক

একটু বড় হওয়ার পর মেয়েকে দেখে চিন্তায় পড়ে যান মা–বাবা। অন্য শিশুদের মতো বাড়ছে না সে। হাত–পা ছোট, উচ্চতাও থমকে গেছে। পরে বুঝতে পারেন—চৈতী বামন।

যে মেয়েকে নিয়ে একসময় দুশ্চিন্তার পাহাড়ে আটকা পড়েছিল পরিবার, আজ সেই চৈতীই আনন্দের আলো ছড়াচ্ছে। দেশের জন্য প্রথমবারের মতো এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমসে স্বর্ণপদক এনে দিয়েছে চৈতী রানী দেব।

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার ভূনবীর গ্রামের শিলু রানী দেব ও সত্য দেবের মেয়ে চৈতীর বয়স ১৩ বছর। উচ্চতা মাত্র ৩ ফুট ৭ ইঞ্চি। কিন্তু তার লক্ষ্য নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া । সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে চলমান এশিয়ান ইয়ুথ প্যারা গেমস ২০২৫–এ বর্শা নিক্ষেপ ও ১০০ মিটার দৌড়ে সে জিতে নিয়েছে দুটি স্বর্ণপদক। ৭ ডিসেম্বর এই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে, চলবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

চৈতীর প্রতিভা আছে। অনুশীলনে সে খুব আন্তরিক। সে কিছু করতে চায়। আশা করছি, ওকে দিয়ে একটা ভালো ফলাফল পাবমেহেদী হাসান, বিকেএসপির প্রধান প্রশিক্ষক

চৈতীর স্বর্ণপদক পাওয়ার বিষয়টি দুবাই থেকে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন স্পোর্টস ফর হোপ অ্যান্ড ইনডিপেনডেন্সের (শি) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী শারমিন ফারহানা চৌধুরী।

যে মেয়েকে সবাই দেখত শুধু উচ্চতায়

ভূনবীর দশরথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী চৈতী একসময় গ্রামবাসীর নজরে পড়ত শুধু তার খর্বাকৃতির জন্য। খেলাধুলায় তার যে অসাধারণ প্রতিভা আছে, তা ছিল চোখের আড়ালে।

তবে এই ছবি এখন বদলে গেছে। গ্রামবাসী বাড়িতে এসে খোঁজ নেন। শিক্ষকেরা খেলতে উৎসাহ দেন, ছবি তোলেন। স্কুলে সে এখন ‘তারকা’।

দুবাইয়ে বর্শা নিক্ষেপে স্বর্ণপদক জয়ের পর চৈতী

সম্পর্কিত নিবন্ধ