স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ কমে অর্ধেক
Published: 20th, February 2025 GMT
বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অবকাঠামো খাতের চেয়েও শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলে আসছে। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (আরএডিপি) বরাদ্দে সেই প্রতিফলিত হচ্ছে না।
স্বাস্থ্য ও শিক্ষায় যে বরাদ্দ ছিল, তা আরও কমানো হচ্ছে। বিশেষ করে স্বাস্থ্যসেবায় বরাদ্দ নেমে আসছে প্রায় অর্ধেকে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় উন্নয়ন বাজেটে খাতভিত্তিক যে অগ্রাধিকার ছিল, মোটামুটি সেটিই বহাল রাখা হচ্ছে আরএডিপিতে।
পরিকল্পনা কমিশনের চূড়ান্ত করা আরএডিপির খসড়ায় দেখা যায়, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের বরাদ্দ কমানো হচ্ছে ৫ হাজার ৩০৫ কোটি টাকা। আরএডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৫ হাজার ৬৬৮ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে এ বিভাগের বরাদ্দ ছিল ১১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড.
সংশোধিত এডিপিতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় বরাদ্দ কমানো হচ্ছে ৫৫৪ কোটি টাকা। বরাদ্দ ধরা হয়েছে ১২ হাজার ৭৬৪ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে এ খাতে বরাদ্দ ছিল ১৩ হাজার ৩১৮ কোটি টাকা। একইভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণলায়ের বরাদ্দ কমানো হয়েছে ৬২০ কোটি টাকা। আরএডিপিতে এ মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ দাঁড়াচ্ছে ১২ হাজার ১২৯ কোটি টাকা। মূল এডিপিতে যা ছিল ১২ হাজার ৭৪৯ কোটি টাকা।
সব মিলিয়ে চলতি অর্থবছরের আরএডিপি বরাদ্দ মূল এডিপির চেয়ে ৫০ হাজার কোটি টাকা কম। এতে চলতি অর্থবছর উন্নয়ন বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ১৬ কোটি টাকা। মূল এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৬৬ হাজার কোটি টাকা। সরকারি বরাদ্দ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের দেওয়া ঋণ– দুই উৎসেই বরাদ্দ কমানো হয়েছে। সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় আরএডিপির খসড়া চূড়ান্ত করা হয়। চলতি মাসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় আরএডিপি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে জানা গেছে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের নেওয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো কতটা প্রয়োজনীয়–তা পর্যালোচনা করছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার। ইতোমধ্যে অনেক প্রকল্প বাদ পড়েছে। আরও কিছু প্রকল্প বাদ পড়তে পারে। কয়েকটির কাজ আপাতত স্থগিত রয়েছে। কিছু প্রকল্পের বরাদ্দ কমানো হয়েছে। বরাদ্দ কমানোর পেছনে এ অর্থবছরের গত সাত মাসে এডিপি বাস্তবায়নে স্থবির পরিস্থিতিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। পরিকল্পনা কমিশনের কার্যক্রম বিভাগের এক কর্মকর্তা সমকালকে বলেন, মূল এডিপির তুলনায় সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ অনেক কম চেয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো। এডিপি ও আরএডিপিতে বরাদ্দ চাহিদার এত বেশি ব্যবধান আগে কখনও দেখা যায়নি।
সূত্র মতে, বরাদ্দে অগ্রাধিকার খাত নির্ধারণে আরএডিপিতে তেমন কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। আগের মতোই সবচেয়ে বেশি রবাদ্দ রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্য। তবে কাটছাঁটে এ বিভাগের বরাদ্দ কমেছে ১ হাজার ৭৮০ কোটি টাকা। বরাদ্দে দ্বিতীয় অগ্রাধিকার খাত অক্ষুণ্ন থাকলেও বিদ্যুৎ বিভাগের বরাদ্দ কমেছে ১২ হাজার ২৪২ কোটি টাকা।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এড প ব ভ গ র বর দ দ ১২ হ জ র প রকল প সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা
পুঁজিবাজারে মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতে তালিকাভুক্ত ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটি ইউনিটহোল্ডারদের জন্য ৩.৩০ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর পুরোটাই নগদ লভ্যাংশ।
২০২৫ অর্থবছরের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের জন্য এ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের শেয়ারের বিপরীতে ০.৩৩ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন শেয়ারহোল্ডারা।
বুধবার (৩০ জুলাই) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আরো পড়ুন:
পুঁজিবাজারে বড়-মাঝারি বিনিয়োগকারী বেড়েছে: বিএসইসি
পুঁজিবাজারে টানা ৩ কার্যদিবস সূচকের পতন
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ট্রাস্টি কমিটির বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তথ্যমতে, ঘোষিত লভ্যাংশ প্রাপ্তির যোগ্যতা নির্ধারণে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৪ আগস্ট। ওই তারিখে যেসব বিনিয়োগকারীর কাছে ক্যাপিটেক গ্রামীণ ব্যাংক গ্রোথ ফান্ডের ইউনিট থাকবে, তারা ঘোষিত লভ্যাংশ পাওয়ার জন্য যোগ্য হবেন।
২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী মিউচ্যুয়াল ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি মুনাফা (ইপিইউ) হয়েছে ০.৩৪ টাকা।
আর ২০২৫ সালের ৩০ জুন ফান্ডটির বাজার দরে ইউনিটপ্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভিপিইউ) দাঁড়িয়েছে ৯.৬১ টাকা।
এই করপোরেট ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন কোম্পানিটির শেয়ারের লেনদেনে কোনো মূল্য সীমা থাকবে না।
ঢাকা/এনটি/ফিরোজ