শেরপুরে শিশু বিক্রির ৩দিন পর উদ্ধার
Published: 20th, February 2025 GMT
শেরপুরে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকায় আড়াই মাসের এক কন্যাশিশুকে বিক্রির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা হলে তিনদিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। একইসাথে ঘটনার সাথে জড়িত একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।   
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক আবু সাঈদ।
এর আগে, বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে টাঙ্গাইল জেলা সদর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার ও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃত ওই নারীর নাম জরিনা বেগম (৪৮)। তিনি শেরপুর সদর উপজেলার লসমনপুর গ্রামের ইজ্জত আলীর স্ত্রী। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- জরিনার মেয়ে সাবিনা (২৮), সদর উপজেলার কামারেরচর গ্রামের সুলতান মিয়া (৪৫) ও টাংগাইল সদরের এমদাদুল হকের স্ত্রী সানোয়ারা খানম (৩০)।
পুলিশ জানায়, নকলা উপজেলার কুলাদি গ্রামের তানিয়া আক্তার ও লতিফুর রহমান দম্পতির আড়াই মাসের কন্যাশিশু লাবিবাকে ১৫ ফেব্রুয়ারি দুপুরে চিকিৎসার উদ্দেশ্যে নিয়ে শেরপুর শহরের বটতলা এলাকার নিরাপদ ক্লিনিকে নেওয়া হয়।
ওই ক্লিনিকে শিশু চোর চক্রের সদস্য জরিনা শিশুটির মাকে বোকা বানিয়ে তার মেয়ে সাবিনার সহায়তায় শিশুটিকে চুরি করে টাঙ্গাইল জেলা সদরের এক নিঃসন্তান দম্পতির কাছে এক লাখ ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেন।
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযান শুরু করে। বুধবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মামলার প্রধান আসামি জরিনাকে শহরের মাধবপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার দেয়া স্বীকারোক্তিতে টাঙ্গাইল জেলা সদরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয় শিশু লাবিবাকে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.                
      
				
ঢাকা/তারিকুল/এস
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হস্তক্ষেপ নয়, পর্যবেক্ষণ ও সহযোগিতায় বিশ্বাসী টিম ডিরেক্টর রাজ্জা
সংবাদ সম্মেলন তখন শেষ। আব্দুর রাজ্জাককে মনে করিয়ে দেওয়া হলো, ‘‘বাংলাদেশ দলের টিম ডিরেক্টর কিন্তু টসেও ইনপুট দিতেন। আপনি কি…?’’ রাজ্জাক মুখে হাসি আটকে রাখেন। এই পদে আসন্ন আয়ারল্যান্ড সিরিজে দায়িত্ব পাওয়া রাজ্জাক স্রেফ এতোটুকুই বলতে পারেন, ‘‘আমাদের থেকে এমন কিছু কখনোই দেখতে পারবেন না। আমরা নতুন কিছু নিয়ে ভাববো।’’
জাতীয় দলকে নিয়ে সেই ভাবনা থেকেই আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বোর্ড একজনকে টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের জাতীয় পুরুষ দলের ব্যর্থতার কারণে আলোচনা হচ্ছিল, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের ওপরে একটি ছায়া বিভাগ থাকবে যারা সরাসরি জাতীয় দল পর্যবেক্ষণ করবে।
সেই ছায়া বিভাগে সাবেক ক্রিকেটাররাই থাকবেন। প্রথম টিম ডিরেক্টর হিসেবে রাজ্জাক পেলেন দায়িত্ব। কেন টিম ডিরেক্টর নিয়োগ দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব হলো সেই প্রশ্ন করা হয় তাকে। নাজমুল হাসান বোর্ড সভাপতির দায়িত্বে থাকার সময় টিম ডিরেক্টর পদটি বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছিল। সাবেক অধিনায়ক ও বোর্ড পরিচালক খালেদ মাহমুদ এই দায়িত্ব পালন করেছেন বিশ্বকাপসহ বেশ কয়েকটি সিরিজে। দলের সঙ্গে গভীরভাবে মিশে যেতেন তিনি। টস থেকে শুরু করে টিম মিটিংয়ে দিতেন ইনপুট। যা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযোগ করেছিলেন কোচ ও অধিনায়ক।
তবে রাজ্জাক নিজের কাজ, পরিধি এবং দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন বলেই নিশ্চিত করলেন,"অন্যান্য যে কোনো টিম ডিরেক্টরের মতোই হবে আমার কাজ। আমি সব কিছু পর্যবেক্ষণ করব, সব কিছুতে নজর রাখব। আর কখনও যদি টিম ম্যানেজমেন্ট মনে করে আমার কোনো সহযোগিতা প্রয়োজন, তাহলে সেটিও দেওয়ার চেষ্টা করব। তাদের সাহায্য প্রয়োজন হলে আমি করব।"
"ক্রিকেট বোর্ডের মনে হয়েছে, দলের সঙ্গে একজন টিম ডিরেক্টর থাকলে ভালো হবে। এই পদটি কিন্তু আগেও ছিল। অনেক দিন ধরেই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে বোর্ড পরিচালকের সংখ্যা কম থাকায় হয়তো দলের সঙ্গে কেউ যায়নি। তবে এর আগে প্রায় সিরিজেই দলের সঙ্গে টিম ডিরেক্টর থাকত।" - যোগ করেন তিনি।
ঢাকা/ইয়াসিন