ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চাকরিবিষয়ক সেমিনার
Published: 20th, February 2025 GMT
শিক্ষার্থীরা কীভাবে নিজেকে চাকরির জন্য প্রস্তুত করবেন, সেসব বিষয়ে ধারণা দিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়ায় চাকরিবিষয়ক সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মিলনায়তনে ক্যারিয়ার ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ক্যারিয়ার ফেস্ট’ নামে এ সেমিনারে শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ারবিষয়ক বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন ক্যারিয়ার পরামর্শদাতা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে সফল ব্যক্তিরা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, ‘আমাদের দেশে অধিকাংশ চাকরির ক্ষেত্রে কোন বিষয়ে পড়েছেন, সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমাদের ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হবে। যাঁরা ভালো ইংরেজি জানেন, তাঁদের চাকরির অভাব হয় না।’
লেখক ও ক্যারিয়ার পরামর্শক রবিউল আলম লুইপা বলেন, ‘একাডেমিক পড়াশোনা ও চাকরির প্রস্তুতির মধ্যে অনেক পার্থক্য। শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষ করে যখন চাকরির বাজারে যায়, তখন বোঝে চাকরির বাজার কত কঠিন। প্রাইভেট হোক বা সরকারি চাকরি, যে সেক্টরে যেতে আগ্রহী, সে অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম দিক থেকেই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। তাহলে চাকরিতে প্রবেশ অনেকটাই সহজ হয়ে যাবে। এ জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের স্কিল ডেভেলপমেন্টের দিকেও জোর দিতে হবে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তারা বলেন, ব্যর্থতা এলেও হতাশ হওয়া যাবে না। লক্ষ্যকে পূরণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। বেসরকারি চাকরিতে ভালো করতে হলে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে হবে। পড়ালেখার বাইরেও কিছু কাজ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে কমিউনিকেশন স্কিল ও উপস্থাপনাশৈলী ভালো হতে হবে, অ্যানালিটিক্যাল অ্যাবিলিটি বাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সহ-উপাচার্য অধ্যাপক এম এয়াকুব আলী, আলোচক হিসেবে ছিলেন রবিউল আলম লুইপা, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: চ কর র
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল