আড়াইহাজার বাজারকে যানজট মুক্ত করতে যৌথ অভিযান
Published: 20th, February 2025 GMT
আড়াইহাজারে রমজানকে সামনে রেখে যানজট নিরসনে ফুটপাত ও সড়কে হকার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করেছে উপজেলা প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান চলে।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ সাজ্জাত হোসেন। এসময় অর্ধশতাধিক হকারদের সড়ক থেকে উচ্ছেদ করে অন্যত্র সরে যাওয়ার জন্য সময় বেঁধে দেন তারা। অভিযানে আরও অংশগ্রহণ করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ নঈম উদ্দিন, আড়াইহাজার থানা পুলিশ ও আনসার সদস্য।
অভিযানে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী ভূঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল আহমেদ, সাবেক ভিপি কবির হোসেন, আড়াইহাজার পৌর বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ লিটন, সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন ডালিম, আড়াইহাজার থানা দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর আমীর হাদিউল ইসলাম।
এ সময় অর্ধশতাধিক দোকানীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা প্রদান করা হয়। অভিযানকে স্বাগত জানান সাধারণ মানুষ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”
আরো পড়ুন:
সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর
ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার
তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”
বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”
তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল