রাজধানীতে পৃথক দুর্ঘটনায় বেসরকারি ব্যাংকের একজন কর্মকর্তাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে উত্তরা ও সন্ধ্যায় তেজগাঁও এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

উত্তরায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির নাম ইব্রাহীম (৪০)। তিনি বেসরকারি সিটি ব্যাংকের কর্মকর্তা ছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো.

ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আজমান আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, শনিবার বিকেলে উত্তরার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে রাস্তা পার হচ্ছিলেন ইব্রাহীম। এ সময় একটি পিকআপ ভ্যান তাঁকে ধাক্কা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

ইব্রাহীম সিটি ব্যাংকের তেজগাঁও শাখায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর ছোট ভাই রাফিজ খান প্রথম আলোকে বলেন, অফিস ছুটি থাকলেও তাঁর ভাই একটি কাজে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। তাঁদের বাড়ি ভোলা জেলায়। তাঁর দুই মেয়ে রয়েছে।

অপর দিকে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার তেজকুনি পাড়ায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে ইট পড়ে আকতার হোসেন (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন। শনিবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ময়নাতদন্তের জন্য আকতারের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহতের ভাগনে আফসার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মামা নামাজ পড়তে বের হয়েছিলেন। এ সময় নির্মাণাধীন ভবন থেকে তাঁর মাথায় ইট পড়ে। তাঁকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

সুদানে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী হতাহতের ঘটনায় প্রধান উপদেষ্টার শোক

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের অতর্কিত ড্রোন হামলায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর শান্তিরক্ষীদের হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

প্রধান উপদেষ্টা শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলেন, “শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার মহান দায়িত্ব পালনের সময় আমাদের ছয়জন বীর শান্তিরক্ষীর শাহাদাত বরণ এবং আরো আটজনের আহত হওয়ার সংবাদে আমি গভীরভাবে মর্মাহত। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের বিপুল অবদান আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত; বীরদের এই আত্মত্যাগ একদিকে জাতির গৌরব, অন্যদিকে গভীর বেদনার।”

আরো পড়ুন:

সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী নিহত: আইএসপিআর

ঢামেক হাসপাতালে নিরাপত্তা জোরদার

তিনি নিহত শান্তিরক্ষীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাদের শোকসন্তপ্ত পরিবার-পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। একই সঙ্গে আহত শান্তিরক্ষীদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আহত শান্তিরক্ষীদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা ও প্রয়োজনীয় সহায়তা নিশ্চিত করতে  জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দুঃসময়ে সরকার শান্তিরক্ষীদের পরিবারগুলোর পাশে থাকবে।”

বিবৃতিতে তিনি এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “শান্তিরক্ষীদের ওপর হামলা আন্তর্জাতিক শান্তি ও মানবতার বিরুদ্ধে গুরুতর অপরাধ।”

তিনি জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে শান্তিরক্ষীদের নিরাপত্তা আরও জোরদারে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

নিহত শান্তিরক্ষীদের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যোগাযোগ চালিয়ে যাবে বলেও বিবৃতিতে বলা হয়।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ