ফেডারেল কর্মীদের হুঁশিয়ারি মাস্কের, দ্বিমত এফবিআই-পররাষ্ট্র দপ্তরের
Published: 23rd, February 2025 GMT
নিজেদের কাজের ব্যাখ্যা দিয়ে ফেডারেল কর্মীদের মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমেইল করতে একপ্রকার হুমকিই দিয়েছেন ধনকুবের ইলন মাস্ক।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ইলন মাস্ক তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্টে দিয়ে বলেন, কর্মীদের একটি ইমেইলের জবাব দিতে হবে। সেখানে তারা চলতি সপ্তাহে কী কাজ করেছেন তার ব্যাখ্যা দেবেন, নয়ত তাদের পদত্যাগ করতে হবে।
তবে ট্রাম্প প্রশাসনের সব কর্মকর্তা এই উদ্যোগের সঙ্গে একমত নন। এফবিআই পরিচালক কাশ প্যাটেল কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন, এই ইমেইলের উত্তর আপাতত না দিতে। তিনি বলেছেন, এফবিআই নিজস্ব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের কর্মীদের কাজ পর্যালোচনা করবে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তরও তাদের কর্মীদের ইমেইলের জবাব না দিতে বলেছে।
রোববার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এ খবর জানিয়েছে।
সংবাদে বলা হয়েছে, ফেডারেল কর্মীরা এরই মধ্যে একটি করে ই-মেইল পেতে শুরু করেছেন। ওই ইমেইলে তাদের এই সপ্তাহে করা কাজের সংক্ষিপ্ত তালিকা দিতে বলা হয়েছে। তবে, মাস্কের পোস্টের মতো সেই ইমেইলে সরাসরি পদত্যাগের হুমকি দেওয়া হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের মানবসম্পদ এজেন্সি-অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্ট থেকে কর্মীদের কাছে ওই ইমেইলগুলো পাঠানো হয়েছে।
ইমেইলে কর্মীদের পাঁচটি বুলেট পয়েন্টের মাধ্যমে তাদের কাজের তালিকা জমা দিতে বলা হয়েছে। কর্মীদের পাঠানো ই-মেইল তাদের ম্যানেজারদেরও পাঠাতে বা সিসি করতে বলা হয়েছে। এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, কর্মীরা যেন কোনও গোপনীয় তথ্য, লিঙ্ক বা সংযুক্তি সংযুক্ত না করেন। এছাড়া সোমবার রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে কর্মীদের ওই ইমেইলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
মাস্ক তার পোস্টে লিখেছেন, প্রেসিডেন্ট @realDonaldTrump-এর নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে, শীঘ্রই সমস্ত ফেডারেল কর্মী একটি ইমেইল পাবেন। ইমেইলে কর্মীরা গত সপ্তাহে কী কাজ করেছেন, তা জানানোর অনুরোধ করা হবে। এতেও বোঝা যাবে, আসলেই তিনি কি কাজ করেছেন। কোনো কর্মী ইমেইলের জবাব না দিলে সেটা পদত্যাগ হিসেবে বিবেচিত হবে।
পররাষ্ট্র দপ্তরের রাষ্ট্রদূত টিবর পি.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইলন ম স ক ফ ড র ল কর ম কর ম দ র কর ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ইউক্রেনের ১০ লাখেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন
রাশিয়ার হামলায় জ্বালানি ও শিল্প অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর ইউক্রেনের দশ লাখেরও বেশি পরিবার বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে। শনিবার ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ক মন্ত্রী ইহোর ক্লাইমেনকো এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ডিনিপ্রোপেট্রোভস্ক, কিরোভোহ্রাদ, মাইকোলাইভ, ওডেসা এবং চেরনিহিভ অঞ্চলে আঘাত হেনেছে রাশিয়া। এই পাঁচটি অঞ্চলে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্নতা দেখা দিয়েছে। হামলায় কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে এবং আগুন নেভানো ও বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে।
আরো পড়ুন:
ইউরোপীয় নেতাদের ‘দুর্বল’ বলে সমালোচনা করলেন ট্রাম্প
শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে: জেলেনস্কি
যুদ্ধের সময় ইউক্রেনীয় জ্বালানি অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলা সাধারণ ছিল। তবে শীতকাল শুরু হওয়ার সাথে সাথে মস্কো হামলা আরো তীব্র করেছে।
শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি জানিয়েছেন, রাতারাতি হামলায় রাশিয়া ৪৫০ টিরও বেশি ড্রোন এবং ৩০ টি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা হামলায় কিনঝাল হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র সহ অস্ত্র ব্যবহার করেছে। এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ট্র্যাক করা কঠিন। কারণ তারা উড়ানের মাঝখানে দিক পরিবর্তন করতে পারে।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, ব্যাপক সামরিক কার্যকলাপের কারণে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বৈদ্যুতিক গ্রিড প্রভাবিত হয়েছে। এর ফলে রাতারাতি সমস্ত অফসাইট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সংযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ঢাকা/শাহেদ