রাসুলকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে কুবিতে মানববন্ধন
Published: 23rd, February 2025 GMT
আল্লাহ ও রাসুলকে (সা.) নিয়ে কটূক্তিকারী এনসিটিবির পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির সদস্য রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমান এবং ধর্ষক র্যাব কর্মকর্তা আলেপের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষার্থীরা।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে এ দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় ‘আল্লাহ শানে ও রাসুলের শানে অপমান, সইবে নারে মুসলমান’, ‘নাস্তিকদের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘রাসুলের কটুক্তি মানি না মানি মানব না’, ‘রাখাল রাহার বিরুদ্ধে লড়তে হবে একসাথে’, ‘যে রাষ্ট্র ধর্ষক পোষে সেই রাষ্ট্র ভেঙে দাও’ ইত্যাদি লেখা সম্বলিত প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনে ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো.
তিনি আরো বলেন, “যদি রাখাল রাহার মতো আল্লাহ ও রাসুলের অবমাননাকারীদের বিচার না করতে পারেন, তাদের বিচার কীভাবে করতে হয় তৌহিদী জনতাই বুঝে নিবে। অনতিবিলম্বে তার বিচার করার আহ্বান রইল।”
লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. হাসান অন্তর বলেন, “বারবার মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি ও ব্যঙ্গ করা হচ্ছে। আমরা বলে দিতে চাই সব মুসলমানের হৃদয় ও ভালোবাসার নাম হয়রত মুহাম্মদ (সা.)। যদি আপনারা রাসুলকে (সা.) কে নিয়ে কটূক্তি করেন, তাহলে আমরা আমাদের রক্ত দিয়ে লড়াই করে যাব। আমরা আমাদের নবীর শানে বেয়াদবি সহ্য করব না। আমরা সরকারকে বলতে চাই, আপনারা যদি আমাদের মা বোনদের নিরাপত্তা দিতে না পারেন তাহলে গদি ছেড়ে দেন।”
গত ২২ ফেব্রুয়ারি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সদস্য রাখাল রাহা (সাজ্জাদুর রহমান) ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে একটি পোস্ট তার ফেসবুকে প্রকাশ করেন। গত ২০ ফেব্রুয়ারি সাবেক র্যাব কর্মকর্তা ও এএসপি আলেপ উদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম করা ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা রাখাল রাহা ও র্যাব কর্মকর্তা আলেপের সুষ্ঠু বিচার না হলে কঠোর আন্দোলনের যাওয়ার হুঁশিয়ারী দেন।
ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার রহিমাপুর গ্রামের নিজ বাড়িতে বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়কে হত্যা করার প্রতিবাদে মানববন্ধন হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রংপুর–দিনাজপুর মহাসড়কের তারাগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। বক্তারা বলেন, নিজ বাড়িতে দম্পতিকে হত্যা করা হলো অথচ পুলিশ গত পাঁচ দিনেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে পারল না। ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে আসামিদের গ্রেপ্তার করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
মানববন্ধনে রংপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আনছার আলী, যুগ্ম আহ্বায়ক শাজাহান খান, সদস্যসচিব ফজলার রহমান, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আহ্বায়ক আলী হোসেন ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি রেজাউল করিম বক্তব্য দেন।
পুলিশ জানায়, গত শনিবার রাতে নিজ বাড়িতে খুন হন বীর মুক্তিযোদ্ধা যোগেশ চন্দ্র রায় ও তাঁর স্ত্রী সুবর্ণা রায়। গত রোববার সকালে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করেও কোনো সাড়া না পেয়ে সন্দেহ হলে মই বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। প্রধান দরজার চাবি খুঁজে পেয়ে খুলে ঘরে ঢোকার পর প্রথমে ডাইনিং রুমে যোগেশ চন্দ্র রায়ের ও রান্নাঘরে সুবর্ণা রায়ের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান তাঁরা।
আরও পড়ুনরংপুরে নিজ বাড়ি থেকে মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার০৭ ডিসেম্বর ২০২৫পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ময়নাতদন্ত শেষে গত সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে যোগেশ চন্দ্র রায় ও সুবর্ণা রায়ের লাশ তাঁদের বাড়ি নিয়ে আসা হয়। এরপর যোগেশ চন্দ্র রায়কে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। রাষ্ট্রীয় সম্মান শেষে তাঁদের সৎকার করা হয়। এ ঘটনায় দম্পতির বড় ছেলে শোভেন চন্দ্র রায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে তারাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।