মাদারীপুরের শিবচরে ছয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে শিবচরের সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সড়ক ৭১ চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

কর্মসূচিতে হাজী শরীয়তউল্লাহ সমাজকল্যাণ পরিষদের কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য নজরুল ইসলাম, শিবচর উপজেলা ছাত্রশিবিরের সাধারণ সম্পাদক মো.

মুজাহিদ, মাদারীপুর সরকারি কলেজের ছাত্র প্রতিনিধি আল আমিন, সরকারি বরহামগঞ্জ কলেজের শিক্ষার্থী হিমেল, ফাহিম, আকাশ প্রমুখ বক্তব্য দেন। বক্তারা প্রথম শ্রেণিপড়ুয়া শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ওই যুবকের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয় ছুটি শেষে বাড়ি ফিরছিল শিশুটি। তখন শিবচরের দত্তপাড়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা মিঠুন মজুমদার (২৫) কৌশলে শিশুটিকে তাঁর বাড়ি নিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ। পরে বিকেলে গুরুতর অবস্থায় শিশুটিকে বাড়ি পাঠিয়ে দেন মিঠুন। শিশুটি বাড়ি ফিরে স্বজনদের সবকিছু খুলে বললে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাতেই শিশুটিকে মাদারীপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনা জানাজানির পর ওই দিন রাতেই অভিযুক্ত মিঠুনকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অনুসন্ধান) মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার মিঠুনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ব্যাপারে শিগগিরই আদালতে অভিযোগপত্র দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: শ বচর

এছাড়াও পড়ুন:

মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।

১০ ডিসেম্বর (আজ বুধবার) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস। এ উপলক্ষে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে মানবাধিকার সংগঠনটি। এ সময় জনগণের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগঠনটি ১৫ দফা দাবি তুলে ধরেছে।‎

‎কর্মসূচিতে অংশ নেন আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) কর্মকর্তা-কর্মচারী, তাঁদের পরিবার এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) ‘স্পিক আপ’ প্রকল্পের তরুণেরা। এই ‎মানববন্ধন কর্মসূচিতে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করা হয়।

বিশ্বব্যাপী মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালের এ দিনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গ্রহণ করে। এ ঘোষণার মাধ্যমে স্বীকৃত হয়, মানবাধিকার সবার জন্য সমানভাবে প্রযোজ্য। জন্মস্থান, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, বিশ্বাস, অর্থনৈতিক অবস্থা কিংবা শিক্ষাগত যোগ্যতা নির্বিশেষে মানবাধিকার সর্বজনীন ও সবার জন্য সমান। প্রত্যেক মানুষ জন্মগতভাবেই এসব অধিকার লাভ করেন।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ বলেন, ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের বাইরে গিয়েও প্রতিদিনই মানবাধিকার বিষয়ে জাগ্রত ও সোচ্চার থাকতে চাই। আইন ও সালিশ কেন্দ্র কখনো মানবাধিকার বিষয়ে কারও কাছে মাথা নত করেনি, কারও সঙ্গে আপস করেনি। যেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেখানেই আইন ও সালিশ কেন্দ্র সব সময় সোচ্চারভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছে।’

নারী অধিকারের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্র প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে সংস্থার এই উপদেষ্টা মাবরুক মোহাম্মদ আরও বলেন, ‘আইনের ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে কিন্তু নারী ও শিশুর প্রত্যয়ী সহিংসতাগুলো বন্ধ হয়নি। এটি নিয়েও আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এই মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। আজ বুধবার, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রংপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
  • আওয়ামী লীগ আমলে গুমের শিকার তিন ছাত্রদল নেতার সন্ধান চেয়ে মানববন্ধন
  • জবিতে নিখোঁজ ৩ ছাত্রদল নেতার সন্ধানে মানববন্ধন
  • এক ডাক্তারের বদলি বাতিল, আরেকজনের অপসারণ চাইলেন চাটমোহরবাসী
  • বাস্তবের ‘জীবন নিয়ে খেলা’
  • মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ১৫ দফা দাবি
  • পঞ্চগড়ে নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন
  • ভাইকে তো পাব না, অন্তত বিচার যদি পাই: বিশ্বজিতের ভাই