ড্রয়ের পর আমোরিম ইউনাইটেডকে ‘দুর্বল’ বললেন
Published: 23rd, February 2025 GMT
ম্যাচের নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষে তখন যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটের খেলা চলছে। এই সময় এভারটন পেনাল্টি পায়। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুয়ের ডি-বক্সের ভেতর ফেলে দেন অ্যাশলি ইয়াংকে। তবে ভিএআর চেক করে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাধ্য হন রেফারি অ্যান্ড্রু ম্যাডলি। এই সিদ্ধান্তে স্বাগতিক এভারটন দর্শকরা হতাশ হয়ে পড়েন, কারণ নিশ্চিত জয় যে হাতছাড়া হলো!
ঘরের মাঠ গডিসন পার্কে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে শেষমেশ ২-২ গোলের ড্রয়ে শেষ করে এভারটন। অথচ রেড ডেভিলদের বিপক্ষে বেশিরভাগ সময়ই ২-০ গোলে পিছিয়ে ছিল।
এভারটন ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে যায়। ম্যাচের ১৯ মিনিটে ইউনাইটেডের দুর্বল ডিফেন্ডিংয়ের সুযোগে পর্তুগিজ বেতো গোল করে এগিয়ে দেন এভারটনকে। এরপর ৩৩ মিনিটে আবদুলায়ে ডুকুর ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
আরো পড়ুন:
অতিরিক্ত ১১ মিনিট পেয়ে মেসির মিয়ামির গোল, দেখলেন রোনালদোর সিউ!
কোচ পিওলির বিষ্ময়কর সিদ্ধান্তে হারল রোনালদোরা
বিরতির পর ইউনাইটেডের খেলার ধার বাড়ে। ম্যাচের ৭২ মিনিটে দলটির অধিনায়ক অধিনায়ক ব্রুনো ফের্নান্দেস ফ্রি-কিক থেকে এক গোল পরিশোধ করেন। ম্যাচের ৮০ মিনিটে উরুগুয়ান ডিফেন্সিম মিডফিল্ডার ম্যানুয়েল উগার্তে একটি দুর্দান্ত শটে ২-২ সমতায় ফেরান দলকে।
২৬ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে ১৫তম স্থানে অবস্থান করছে ম্যান ইউনাইটেড। সমান ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে ১৪তম স্থানে অবস্থান করছে এভারটন। ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো এত ম্যাচ পর ম্যানইউর উপরে অবস্থান করছে এভারটন। রেড ডেভিলরা সবশেষ ১২টি লিগ ম্যাচের ৮টিতে পরাজিত হয়েছে।
এদিকে, ম্যাচ শেষ সময় ম্যান ইউনাইটেড কোচ পর্তুগিজ কোচ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ হতাশ। তিনি বলেন, “আমরা প্রথমার্ধে একেবারে অস্তিত্বহীন ছিলাম। আমাদের তিন পয়েন্ট দরকার ছিল, কিন্তু আমরা সে লক্ষ্য অর্জন করতে পারিনি। আমরা বল হারাচ্ছিলাম এবং যা করা দরকার ছিল, তা করছি না। আমরা খুব দুর্বল ছিলাম।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।